মৌলভীবাজারে ম্যারাথন দৌড়ে দেশি-বিদেশি সাত শতাধিক রানার
মৌলভীবাজারে চা বাগান ও পাহাড়ি এলাকায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো আলট্রা ট্রেইল ম্যারাথন দৌড়-২০২১ প্রতিযোগিতা। এতে অংশ নিয়েছেন ১৭টি দেশের ৩০ জনসহ সাত শতাধিক নারী ও পুরুষ রানার।
তিনটি ধাপে যথাক্রমে ৫০ কিলোমিটার, ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার এবং ১০ কিলোমিটার দূরত্বে আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে অংশগ্রহণকারীরা উৎফুল্লতার সঙ্গে দীর্ঘপথ পাড়ি দেন।
শমসের নগর চা বাগান ফুটবল মাঠে আজ শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে জড়ো হন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যাওয়া রানার। তাঁদের সঙ্গে যোগ দেন বিদেশি রানাররাও।
সকাল ৬টায় প্রথমে শুরু হয় ৫০ কিলোমিটার দূরত্বের ম্যারাথন দৌড়। পরে সকাল সাড়ে ৬টায় দ্বিতীয় ম্যারাথন দৌড় শুরু হয় ২১ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের। সব শেষে সকাল সাড়ে ৭টায় শুরু হয় ১০ কিলোমিটার দূরত্বের ম্যারাথন দৌড়।
তিনটি ধাপে দেশি বিদেশি সাত শতাধিক রানার পৃথক তিনটি ট্রেইলে শমসের নগর চা বাগান মাঠ থেকে শুরু করে দেওছড়া চা বাগান ও কানিহাটি চা বাগান হয়ে আবার শমশেরনগর চা বাগান মাঠে পৌঁছে শেষ করেন। এ সময় অনেক অংশ গ্রহণকারী রানাররা তাদের অনুভূতি জানান।
এই আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে অংশ গ্রহণকারীদের নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবাসহ সার্বিক বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। প্রতিটি ট্রেইলে নারী ও পুরুষ মিলে ছয়টি পুরস্কারসহ মোট ১৮ জন রানারকে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া অংশ গ্রহনকারীদের বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়। রানাররা জেলার বিভিন্ন স্থানে আগে থেকেই রিসোর্ট, গেস্ট হাউজ আগাম বুকিং করেছিলেন।
ম্যারাথনের সদস্য সচিব নবীল শমসেরী জানান, পৃথকভাবে তিনটি ট্রেইলে সময় বেঁধে দেওয়া হয় যথাক্রমে সাড়ে ৮ ঘণ্টা, সাড়ে তিন এবং এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট। প্রথমবারের মত অনুষ্ঠিত ম্যারাথনে ভারত, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া, ভুটান, জার্মানি, আমেরিকাসহ ১৭টি দেশের রানার অংশ নেন।
বাংলাদেশের পতাকা বহনকারী যাঁরা এরই মধ্যে বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছেন এমন বেশ কয়েকজন রানারও এ আল্ট্রা ট্রেইল ম্যারাথনে অংশ নিয়েছেন।
চা বাগান ও পাহাড়বেষ্টিত এলাকায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজনের মাধ্যমে শমসের নগরের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান বাংলাদেশ তথা বিশ্বের মধ্যে তুলে ধরাই ছিল আয়োজকদের লক্ষ্য।