যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে খালেদা জিয়াকে নিয়ে বানোয়াট তথ্য : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের মানবাধিকার প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিষয়ে যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেটা যাচাই-বাছাই না করে দেওয়া হয়েছে। এই তথ্য বানোয়াট ও আপত্তিকর। আজ সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় করোনার টিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন মাধ্যম থেকে করোনার টিকা আনার চেষ্টা করছি। জাপান থেকে শিগগিরই আমরা টিকা পাব বলে আশা করছি।’
প্রসঙ্গত, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাজ্যের মানবাধিকারবিষয়ক একটি প্রতিবেদন সম্পর্কে অসন্তোষ ব্যক্ত করার জন্য গতকাল রোববার ঢাকায় নিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনারকে তলব করে। প্রতিবেদনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, তিনি এখন ‘গৃহবন্দি’ রয়েছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, “ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে যে, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করতে ‘গৃহবন্দি’ শব্দগুলোর ব্যবহার একটি বড় ধরনের বিভ্রান্তি।”
এতে আরও বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও) প্রকাশিত হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্র্যাসি রিপোর্ট ২০২০-এর বাংলাদেশ অধ্যায়ে উল্লেখিত ইস্যুগুলোর ব্যাপারে সরকারের মনোভাব ও অসন্তোষ ব্যক্ত করার জন্য ভারপ্রাপ্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার জাভেদ প্যাটেলকে তলব করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পররাষ্ট্র দপ্তর ব্রিটিশ দূতকে সুস্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে, খালেদা জিয়া তাঁর বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণ করবেন এবং বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন না—এই শর্তে সরকার ২০২০ সালের মার্চ মাসে তাঁর সাজা স্থগিত করে তাঁকে ‘মুক্তি’ দেয়।
এতে আরও বলা হয়, খালেদা জিয়াকে তাঁর ভাইয়ের একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোডের একটি ধারায় শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, দূতকে আরও অবহিত করা হয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জন্য মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তবে, পরবর্তীতে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর ও ২০২১ সালের মার্চ মাসে দুইবার তাঁর মুক্তির মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হাইকমিশনারকে জানানো হয়েছে যে, এ ধরনের আইনি বিষয়ে যেকোনো ধরনের বিভ্রান্তির ক্ষেত্রে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত।’