রাঙামাটিতে সড়কের ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ
জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ বৃদ্ধিতে দূর পাল্লার সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কে এখন যাত্রীদের একমাত্র ভরসা অটোরিকশা। সেটিও সংখ্যায় কম। আর ভাড়াও গুণতে হচ্ছে বেশি। অনেকে আবার এই সুযোগে সড়কে নামিয়েছেন ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল। সেখানেও ভাড়া গুণতে হচ্ছে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েকগুণ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
অটোরিকশাচালক মো. হারুন ও মোসমেল উদ্দিন বলেন, ঘুম থেকে উঠেই দেখি—জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে গেছে। যে পরিমাণ বেড়েছে, তাতে আয়ের টাকার সবটাই তেল কিনতে চলে যাবে। সেজন্য ভাড়া বাড়াতেই হচ্ছে।
অটোরিকশার চালকদের দাবি, ২০১৩ সালের পর তাদের যানবাহনের ভাড়া বাড়েনি। অথচ তেলের দাম বেড়েছে দফায় দফায়। এবার তা বেড়ে হয়েছে কয়েকগুণ। এরপর যাত্রীদের কাছে ভাড়া বেশি চাইলে তারা তর্কবিতর্ক করছেন। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে।
এদিকে, সাধারণ মানুষের অভিযোগ—পরিবহণ ব্যয় দ্বিগুণ হওয়ায় নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য সামর্থ্যের বাইরে চলে যাবে। পরিবহণ সেক্টরে অস্থিরতা দেখা দেবে। চলাচল কঠিন হবে।
হাসপাতাল এলাকার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, ‘সকালে অফিসের উদ্দেশে বের হয়ে দেখি সব কিছু বন্ধ। এখন বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটেই অফিসে যাচ্ছি। সময় মতো পৌঁছাতে পারব কি না বলতে পারছি না।’
বনরুপায় গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা সুমন চাকমা জানান, ‘কলেজে যাব, কিন্তু এখন চরম দুর্ভোগে পড়েছি। অথচ, কলেজে যাওয়া দরকার।’
রাঙামাটি অটোরিকশাচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বাবু বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভাড়ার হার নির্ধারণ না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সব ধরনের অটোরিকশা চলাচল বন্ধ থাকবে। ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে মারামারি, ঝামেলা এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, ‘আগামীকাল রোববার সকাল ১১টায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সভা আহ্বান করা হয়েছে।’