রীতি অনুযায়ী টাকার মালায় চেয়ারম্যানকে বরণ
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবলু দেওয়ানকে টাকা এবং ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিয়ে বরণ করে নিয়েছে চরবাসী। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর চরবাসীর রেওয়াজ অনুযায়ী গতকাল মঙ্গলবার তাকে এভাবেই বরণ করে নেওয়া হয়।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবলু দেওয়ান চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেন। গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচনে চার হাজার ৯১ ভোট পেয়ে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী একই দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী আজিজুল আযম আনারস প্রতীকে তিন হাজার ১০১ ভোট পেয়েছেন। এ ইউনিয়নে মোট ভোটার ৯ হাজার ৫৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ চার হাজার ৮৮৮ ও নারী চার হাজার ৬৪৫ জন।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবলু দেওয়ানকে গতকাল বিকেলে পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর ইউনিয়নের কালিদাসখালী, চকরাজাপুর বাজার, দাদপুর বাজার, শহরের মোড়, পুরাতন পলাশি ফতেপুর বাজার, নতুন পলাশি ফতেপুর বাজার, নিচ পলাশি ফতেপুর এলাকা ঘুরিয়ে টাকা ও ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এভাবে তাকে ১৫টি চরের মানুষ সপ্তাহব্যাপী সংবর্ধনা দেবে বলে জানা গেছে।
চকরাজাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম জানান, চরবাসীর রেওয়াজ অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানকে এভাবেই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নির্বাচিত হওয়ার আনন্দে আমরা চরবাসী ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবলু দেওয়ানের গলায় টাকা ও ফুলের মালা পরিয়ে সংবর্ধনা দিয়েছি। এলাকাবাসী নিজেদের সামর্থ অনুযায়ী স্বেচ্ছায় নতুন চেয়ারম্যানের গলায় টাকার মালা পরিয়ে দেয়।
কালিদাসখালী চরের মিলন শেখ বলেন, ‘চরের রেওয়াজ অনুয়ায়ী যে ব্যক্তি নির্বাচিত হবেন, তাকে সপ্তাহব্যাপী এলাকায় ঘুরে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সংবর্ধনায় চেয়ারম্যানকে পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকার মালা পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে। একজন মেম্বারকে কমপক্ষে এক থেকে দেড় লাখ টাকার মালা দেওয়া হয়। এ মালাতে এক হাজার টাকা, ৫০০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা, ১০ টাকার নোট দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চকরাজাপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ডি এম মনোয়ার হোসেন বাবলু দেওয়ান বলেন, ‘চরের রেওয়াজ অনুয়ায়ী চরবাসী টাকার মালা ও ফুলের মালা পরিয়ে এলাকায় ঘুরিয়ে আমাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন। অতীতেও যারা এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন, তাদেরও চরবাসী এভাবেই বরণ করে নিয়েছিল। এটি চরের মানুষের ভালোবাসা।’