রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানে নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি পদক্ষেপ চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, ‘মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যেতে পারে, সেজন্য জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে আমরা আশা করি।’
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত ‘মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি : সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের অবস্থা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনায় এ আশা প্রকাশ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
ভার্চুয়াল আলোচনার সহ-আয়োজক ছিল জাতিসংঘে কানাডা, সৌদি আরব ও তুরস্কের স্থায়ী মিশন এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা ‘গ্লোবাল সেন্টার ফর রেসপনসিবিলিটি টু প্রটেক্ট’।
জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা আলোচনা অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ভাসানচর রোহিঙ্গাদের আবাসনব্যবস্থা জাতিসংঘ ও উন্নয়ন সহযোগীরা যথাযথভাবে পরিদর্শন ও মূল্যায়ন করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। এখানে তাদের রোহিঙ্গাবিষয়ক কর্মসূচির বাস্তবায়ন কাজ শুরু করেছে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও মানবাধিকার কাউন্সিলসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় রোহিঙ্গা ইস্যুটিকে সর্বদা জাগ্রত রাখবে বলে আমরা আশা করছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘নিরাপত্তা পরিষদ জাতিসংঘ সনদ অনুযায়ী তাদের দায়বদ্ধতা পরিপালন করবে। আমরা বিশ্বাস করি, নিরাপত্তা পরিষদ রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানে অনতিবিলম্বে ও জরুরিভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে, যাতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী তাদের নিজভূমিতে নিরাপদে ও মর্যাদাপূর্ণভাবে ফিরে যেতে পারে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পদক্ষেপের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রী আঞ্চলিক সংস্থা, দেশ ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ জানান।