র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধ
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং এ বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান ঊর্ধ্বতন কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর থেকে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে ড. মোমেন দেশটির আইন প্রণেতাদের সাথে সাক্ষাতকালে ও ওয়াশিংটন ডিসিতে কয়েকটি থিঙ্ক ট্যাঙ্কে বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান। এসময় সংসদ সদস্য মাহবুব-উল আলম হানিফ ও নাহিম রাজ্জাক এবং পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন উপস্থিত ছিলেন।
আজ বুধবার ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ অংশীদারত্ব গড়ে তুলতে বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহের কথা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানোরও আহ্বান জানান।
ড. মোমেন মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা সিনেটর চাক শুমারের সঙ্গে দেখা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী দণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদ চৌধুরীর প্রত্যাবর্তনের বিষয়টি উত্থাপন করেন এবং এ বিষয়ে সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতার সহায়তা কামনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য কংগ্রেসম্যান স্টিভ চ্যাবোটের সাথে দেখা করে র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিগগিরই প্রত্যাহার করা হবে বলেও তিনি বাংলাদেশের প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাঙ্ক দ্বারা আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে যে চিত্তাকর্ষক আর্থ-সামাজিক অগ্রগতি হয়েছে তা তুলে ধরেন। তিনি মানবাধিকার ও গণতান্ত্রিক নীতির প্রচার ও সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের প্রচেষ্টার বিস্তারিত বর্ণনা করেন এবং মার্কিন সরকারের কাছে র্যাব ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আহ্বান জানান।
ইউএস-বাংলাদেশ সম্পর্কের গুরুত্ব উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের টেলিকম অবকাঠামো, ডিজিটাল অর্থনীতি, ওষুধ, নীল অর্থনীতি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, আর্থিক প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ করতে পারে।