লঞ্চকে ধাক্কা দিয়ে বাল্কহেড নিমজ্জিত, নিখোঁজ ২
পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়া থেকে ঢাকাগামী মর্নিংসান-৯ লঞ্চের মাঝখানে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় সেটি ডুবে গেছে। এই ঘটনায় ওই বাল্কহেডের দুজন নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বাল্কহেডের ধাক্কায় লঞ্চের তলা ফেটে গেছে।
আজ সোমবার রাত ৯টার দিকে উজিরপুরের সন্ধ্যা নদীর মীরেরহাট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে লঞ্চটি বর্তমানে উজিরপুরের চৌধুরীরহাট এলাকায় নোঙর করা রয়েছে।
মর্নিংসান-৯ লঞ্চের যাত্রী জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমরা লঞ্চের ছাদে ছিলাম। লঞ্চটিও দ্রুতগতিতে চলছিল। এরই মধ্যে দেখতে পাই আড়াআড়ি ভাবে আসা বালুবাহী একটা বাল্কহেড থেকে মাস্টার লাইট দিয়ে সিগন্যাল দিচ্ছিলেন। তবে দুটি নৌযানই একই গতিতে চলছিল। এরপর বাল্কহেডটি লঞ্চের মাঝখানে ধাক্কা দেয়। এতে বাল্কহেডটি ডুবে যায় এবং বাল্কহেডের দুজন নিখোঁজ হন। এ ছাড়া লঞ্চের তলা ফেটে যায়।
লঞ্চে পপকর্ন বিক্রেতা সেলিম বলেন, মীরেরহাট এলাকায় দুর্ঘটনা ঘটলেও লঞ্চ নোঙর করা হয়েছে চৌধুরীরহাটে।
উজিরপুরের বড়াকোঠা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাস্থলে রয়েছি। যাত্রীরা নিরাপদে রয়েছেন। বেশিরভাগ যাত্রীই চলে গেছেন। এছাড়া লঞ্চের তলা ফেটে পানি উঠে যাওয়ায় বর্তমানে পানি অপসারণ করা হচ্ছে। এটা হয়ে গেলেই যেসব যাত্রী রয়েছে, তাদের নিয়ে রওনা হবে লঞ্চটি।
বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে। বাল্কহেড ডুবে যাওয়ার পাশাপাশি লঞ্চের তলাও ফেটে গেছে। কিছু যাত্রী লঞ্চেই রয়েছে। বাকিরা আতঙ্কিত হয়ে চৌধুরীর হাট এলাকায় নেমে গেছে। লঞ্চ ঢাকায় ছেড়ে যাবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী আরশাদ বলেন, ঘটনাস্থলে আমরা রয়েছি। দুর্ঘটনায় বালুবাহী বাল্কহেডটির দুজন নিখোঁজ রয়েছেন। তাদের নাম মিলন ও কালাম সাইজউদ্দিন। বাড়ি স্বরূপকাঠী উপজেলার নান্দুহার গ্রামে। নিখোঁজ দুজনকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।