সাতকানিয়ায় নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার, স্বামী গ্রেপ্তার
দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় অব্যবহৃত একটি টয়লেটের রিংয়ের (চাকি) ভেতর থেকে শামসুন্নাহার (২৫) নামের এক নারীর অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার কেঁওচিয়া নয়াপাড়া ৯ ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ভাড়া বাসা থেকে স্থানীয় পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় পুলিশ ওই নারীর স্বামী মো. বাবুলকে (রোহিঙ্গা) গ্রেপ্তার করেছে।
নিহত শামসুন্নাহার কক্সবাজার সদর কুরুশকুল পেছার ঘোনা রশিদের বাড়ির মৃত সৈয়দ করিমের মেয়ে। তারা স্বামী-স্ত্রী গত দুই বছর ধরে নুরুল ইসলামের টিনশেডের ভাড়া বাসায় বসবাস করে আসছেন। বাবুল কক্সবাজারের উখিয়ার জামতলা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আব্দুস শুক্কুরের ছেলে।
জানা যায়, গত ১৪ জুলাই রাতের যেকোনো সময় শামসুন্নাহারকে তার স্বামী ভাড়া বাসায় হত্যা করে পার্শ্ববর্তী টয়লেটের অব্যবহৃত ট্যাঙ্কে পুঁতে ফেলেন। নিহত নারীর পরিবারের অভিযোগ তার কাছে থাকা টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেওয়ার জন্য তাকে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত নারীর ভাগনে একরামুল হক বলেন, বাবুল গত শুক্রবার বিকেলে আমার আম্মুকে ফোন করে বলেন, খালা (শামসুন্নাহার) অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। চিকিৎসার জন্য টাকার প্রয়োজন। বিকাশে কিছু টাকা পাঠান। পরে আমার খালার সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আমাদের সন্দেহ হলে গতকাল রোববার বিকেলে প্রথমে নোয়াপাড়ার ভাড়া বাসায় দেখতে গেলে বাবুল বলে তোমার খালাকে চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার দেখানো মতে হাসপাতালগুলোতে খালার সন্ধান না পেয়ে বাবুলকে সঙ্গে করে কক্সবাজার নিয়ে যান। সেখানে চাপ দেওয়ার পর তিনি স্বীকার করেন আমার খালাকে মেরে পুঁতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশের সহযোগিতায় অব্যবহৃত টয়লেটের ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।’
সাতকানিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান, নিহত নারীর পরিবারের লোকজনের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে সোমবার সন্ধ্যার দিকে কেঁওচিয়া নয়াপাড়া ৯ ওয়ার্ডের নুরুল ইসলামের ভাড়া বাসার পাশের অব্যবহৃত একটি টয়লেটের ট্যাংক থেকে তার অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ সময় সেখান থেকে ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।