সিলেট-৩ আসনে ভোট শেষ, ফলের অপেক্ষা
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ শনিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতিতে ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
ভোটগ্রহণের শুরু থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের তেমন একটা উপস্থিতি লক্ষ করা যায়নি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার সংখ্যা কিছুটা বাড়ে। কেন্দ্রে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক সদস্য।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আতিকুর রহমান আতিক (লাঙল), বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী জুনায়েদ মোহাম্মদ মিয়া (ডাব) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির বহিষ্কৃত সদস্য শফি আহমেদ চৌধুরী (মোটরসাইকেল)।
ভোটশেষে সিলেট আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদের জানিয়েছেন, উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত থেকে মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
ভোটকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে নির্বাচনি এলাকা দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আগামীকাল রোববার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এ নির্দেশ জারি থাকবে।
সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সল কাদির জানান, নির্বাচনি এলাকায় ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, কার ও জিপ চলাচল বন্ধ রয়েছে।
ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলায় রয়েছে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ১৭ থেকে ১৮ জন সদস্য। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে নিয়োজিত রয়েছে ১৮ থেকে ১৯ জন। এদের মধ্যে পুলিশ আর আনসার সদস্যের কাছে অস্ত্র রয়েছে। তাঁরা সার্বক্ষণিক ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা দিচ্ছেন।
পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে গঠিত মোবাইল ফোর্স ২১টি, স্ট্রাইকিং ফোর্স ১২টি, র্যাবের ১২টি টিম ও ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। বিজিবির সঙ্গে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও দায়িত্ব পালন করছেন।
দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত সিলেট-৩ আসন। ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর মৃত্যু হয়। এরপর ১৫ মার্চ আসনটি শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে দেরিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়। ২ মার্চ ঘোষিত তফসিল ঘোষণার সময় ১৪ জুলাই নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হলেও পরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সুপারিশে ২৮ জুলাই নতুন তারিখ দেওয়া হয়। নির্বাচনের দুদিন আগে একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত নির্বাচন স্থগিতের নির্দেশ দেন। অবশেষে আজ ৪ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।