সেবায়েতের আত্মহত্যা : মন্দির কমিটির সভাপতিসহ ৩ জন কারাগারে
রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বরের কেন্দ্রীয় মন্দিরে সেবায়েত পরিক্ষিত দাস আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় মন্দির কমিটির সভাপতি ডা. বিপ্লব বিজয়ী হালদারসহ তিন আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাকিল আহাম্মদের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। কারাগারে যাওয়া অন্য দুই আসামি হলেন—মন্দির কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন সাহা ও দপ্তর সম্পাদক বাদল সরকার।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এদিন তিন আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. সাজু মিয়া।
অন্যদিকে, আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে আবেদন করেন। এরপর আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একইসঙ্গে জামিন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
গত রোববার গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর ও ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সেবায়েত পরিক্ষিত দাস কাফরুল থানার কেন্দ্রীয় মন্দিরের ঢাকা মহানগর উত্তরের সেবায়েত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন।
গত ১৬ আগস্ট সকাল ৬টার দিকে মন্দিরের দ্বিতীয় তলার রেলিংয়ের সঙ্গে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট সেবায়েত পরিক্ষিত দাস একটি ব্যাগ নিয়ে মন্দির হতে বের হওয়ার সময় আসামি সুমন সাহা তাকে বাধা দেন। এর কিছুক্ষণ পরেই আসামি ডা. বিপ্লব বিজয়ী হালদার ও বাদল সরকার মন্দিরে এসে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী পরিক্ষিত দাস তাদের হাত ও পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে থাকে। পরে ওই আসামিরা পরিক্ষিত দাসকে মন্দিরে রেখে চলে যান। এরপর আসামিদের প্ররোচনায় ভুক্তভোগী গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহতা করেন।