সেরামের টিকা পেতে যুক্তরাষ্ট্রকে বাংলাদেশের চিঠি
অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত কোভিশিল্ড টিকা পেতে এবার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। কোভিশিল্ডের ছয় কোটি ডোজ টিকা অবশিষ্ট রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। ওই খবর জানার পরপরই অর্থাৎ কয়েকদিন আগে এই চিঠি দেওয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সুযোগ থাকলে ওই টিকা আমরা অনুদান হিসেবে চাই। আর তা না হলে আমরা কিনে নিতে চাই। সে কথা চিঠিতে আমরা জানিয়ে দিয়েছি।’
আবদুল মোমেন বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমরা জানতে পেরেছি সেরামের উৎপাদিত ৬০ মিলিয়ন (ছয় কোটি) ডোজ কোভিশিল্ড টিকা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। যে টিকাগুলো যুক্তরাষ্ট ব্যবহার করছে না। মূলত এটা জানার পরে আমরা ওয়াশিংটনকে চিঠি লিখেছি। এ ছাড়া ঢাকায় অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসকেও আমরা চিঠি দিয়ে টিকার বিষয়টি জানিয়েছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যে চিঠি আমরা দিয়েছি, সেখানে দুইভাবে টিকার কথা বলা হয়েছে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র যদি আমাদের টিকাগুলো অনুদান হিসাবে দিতে চায় আমরা নেব। আর যদি তারা অনুদান হিসেবে দিতে না চায়, তাহলে আমরা কিনে নেব। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ওই টিকা পেতে আমরা আমাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। এখন আমরা যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরের অপেক্ষায় রয়েছি।’
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ভারত থেকে করোনার টিকা আসা নিয়ে অনিশ্চয়তা ও দেশে টিকা কার্যক্রম চলমান রাখার জন্য পরিস্থিতি বিবেচনায় বিভিন্ন উৎস থেকে টিকা পাওয়ার জন্য তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তারই অংশ হিসেবে গত ২৭ এপ্রিল রাশিয়ার টিকা ‘স্পুটনিক-ভি’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তার ঠিক দুই দিন পর চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার।
২৭ এপ্রিল ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তদরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এনটিভি অনলাইনকে বলেছিলেন, ‘মে থেকে জুলাই মাসের মধ্যে রাশিয়ার ৪০ লাখ টিকা দেশে চলে আসবে। যাতে এই ৪০ লাখ টিকা আসে, সেজন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এই টিকা পাওয়ার পরের ধাপে আরও বেশি টিকা পাওয়ার জন্যও চেষ্টা চালাচ্ছে বাংলাদেশ সরেকার।’
এদিকে গতকাল সোমবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, উপহার হিসেবে চীনের দেওয়া পাঁচ লাখ ডোজ করোনার টিকা ১০ মে’র মধ্যে বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের এই টিকা আনার ব্যবস্থা করছে।