সৈয়দ নজরুল-আশরাফের ম্যুরালে কালো রঙ দিয়ে বিকৃতি, মানববন্ধন
কিশোরগঞ্জে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে কালো রঙ মেখে বিকৃতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করা হয়েছে।
আজ সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে জেলা শহরের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে সর্বস্তরের নাগরিকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচি চলাকালে বক্তারা জানান, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনায় জড়িত দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার না করলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন—জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এম এ আফজাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবু সাইদ ইমাম ও অ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ, সদর উপজেলার সভাপতি আওলাদ হোসেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মীর, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম সোহেল এবং মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিলকিস বেগম।
জেলা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতকাল রোববার (১ জানুয়ারি) রাতের কোনো এক সময়ে অজ্ঞাতপরিচয় দৃর্বৃত্তরা শহরের কালীবাড়ি এলাকায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম চত্বরে স্থাপিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম এবং তাঁর ছেলে সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরালে কালি মেখে বিকৃতি করে।
খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল আমিন হোসাইন ও পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ এবং সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরে দ্রুত কালি মুছে ফেলা হয়।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রাতের আঁধারে দুষ্কৃতকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে কাজ চলছে।’
সদর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এর আগে ২০২১ সালের ৩০ জুলাই সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ম্যুরাল ভাঙচুরের চেষ্টা করা হয়। সে ঘটনার এখনও প্রকৃত হোতাকে আটক করা যায়নি এবং মূল রহস্য উন্মোচিত হয়নি।