স্কুলশিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্তের ঘটনায় সংঘর্ষ, দোকান-বাড়িতে আগুন
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্কুলশিক্ষার্থীকে উত্ত্যক্ত করার ঘটনায় দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয় ওই সব দোকান ও বাড়িঘরে।
গতকাল সোমবার রাত ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত পৌর শহরের চণ্ডীবের ও পলতাকান্দা গ্রামের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ চলাকালে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, পলতাকান্দা গ্রামের স্কুলপড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে আসা-যাওয়ার পথে চণ্ডীবের গ্রামের বখাটে কয়েক যুবক উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল রাতে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে পলতাকান্দা গ্রামের লোকজন চণ্ডীবের গ্রামের লোকজনের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগসহ বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট শুরু করে। সংঘর্ষের ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে রাস্তা আটকে দেয় চণ্ডীবের গ্রামের লোকজন। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন এ পথে চলাচলকারী যানসহ পলতাকান্দা ও কালীপুর গ্রামের লোকজন। পৌর মেয়রের নির্দেশে পরে রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পলতাকান্দা গ্রামের উত্ত্যক্তের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা বলেন, বেশ কয়েক দিন ধরে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে আমার মেয়েকে চণ্ডীবের গ্রামের নবী হোসেনের ছেলে রিয়াদ উত্ত্যক্ত করে আসছে। এর প্রতিবাদ করায় চণ্ডীবের গ্রামের লোকজন আমাদের গ্রামে হামলা চালায়। ফলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
এদিকে চণ্ডীবের গ্রামের নবী হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগসহ বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। এতে আমাদের প্রায় ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করায় এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানান ভৈরব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. গোলাম মোস্তফা।