স্ত্রী-সন্তান হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা, যুবক আটক
নীলফামারীর ডোমারে স্ত্রী ও তিন বছর বয়সী শিশুকে ছুড়ি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন জিয়ারুল ইসলাম (৩০) নামে এক যুবক। আজ বুধবার বেলা ৩টার দিকে ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ি ইউনিয়নের নয়ানি বাকডোকরা নিমোজখানা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। পরে তাঁকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতরা হলেন—জিয়ারুলের স্ত্রী রতনা বেগম (২৫) ও তাঁর তিন বছর বয়সী মেয়ে ইয়াসমীন আকতার।
জানা গেছে, স্ত্রীকে হত্যার পর জিয়ারুল একই ছোড়া দিয়ে শাশুড়ি বিলকিস আকতারকে (৪০) আঘাত করে রক্তাক্ত করে। এরপর নিজের পেটে ছুড়ি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর আগে তাঁর ১৪ দিন বয়সী আরেক সন্তানকে পানিতে ফেলে দেয়।
জিয়ারুলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১৪ দিনের শিশু ও শাশুড়ি বিলকিসকে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শাশুড়ি বিলকিস ইসলাম একই এলাকার আব্দুল করিমের স্ত্রী।
বোড়াগাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য অশ্বিনী কুমার রায় জানান, জিয়ারুল ও রতনার মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল বেশ কিছুদিন ধরে। আজ ক্ষিপ্ত হয়ে ছুড়ি দিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা চালান।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘পারিবারিক কলহের জেরে এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আহত বিলকিস ও ১৪ দিনের শিশুকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আত্মহননের চেষ্টাকারী যুবককে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘এ ঘটনায় জিয়ারুল ইসলামকে আটক দেখানো হয়েছে এবং তিনি যাতে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য পুলিশি নিরাপত্তায় চিকিৎসা কার্যক্রম চলবে।’