হত্যা মামলায় তিনজনের ফাঁসি, একজনের যাবজ্জীবন
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদিতে হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিনজনকে ফাঁসির এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১নং আদালতের বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় দেন।
২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে জেলার কটিয়াদী উপজেলার মধ্য ভাট্রা গ্রামে রফিকুল ইসলাম নামে এক কৃষককে হত্যার অপরাধে মামলাটি করা হয়। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন ফোরকান ভুইয়া (৪৯), অ্যাগু ভুইয়া (৫৯) ও তাঁর ছোট ভাই শাহেদ ভুইয়া (৩৯)। মোস্তফা (৪১) নামে অপর এক আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাস অতিরিক্ত কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিচার চলাকালে জমশেদ ভুইয়া নামে এক আসামি মারা যাওয়ায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং আহাম্মদ নামের আরেক আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তার মামলা শিশু আদালতে বিচারাধীন আছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৯ আগস্ট রাতে জেলার কটিয়াদী উপজেলার মধ্য ভাট্রা গ্রামে মামলার অভিযুক্ত ছয় আসামি একই গ্রামের ইনু ভুইয়ার ছেলে রফিকুল ইসলামকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বাজিতপুর ভাগলপুর জহুরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে ঢাকায় একটি হাসাপাতালে পাঠানো হয়। চার দিন পর ২ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত রফিকুল ইসলামের চাচাত ভাই আনার ভুইয়া হত্যাচেষ্টা, হামলা ও আহত করার অভিযোগ এনে ছয় আসামির বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে রফিকুল ইসলাম মারা গেলে এটি হত্যা মামলায় পরিণত হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কটিয়াদী মডেল থানার উপরিদর্শক (এসআই) রাখাল দেবনাথ ২০১৪ সালের ৮ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট যজ্ঞেশ্বর রায় চৌধুরী রাষ্ট্রপক্ষে এবং আসামি পক্ষে অ্যাডভোকেট আজিজুল হক মিন্টু মামলাটি পরিচালনা করেন।