হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক ছাত্রদলের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল এলাকায় ছাত্রদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনটি। একই সঙ্গে তারা দুই দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় বলা হয়, ‘ছাত্রদলের ক্যাম্পাস অভিমুখী শান্তিপূর্ণ মিছিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ এবং সশস্ত্র হামলা চালায়। গুলির শব্দে ছাত্রদলের কর্মীরা আতঙ্কিত হয়ে সুপ্রিম কোর্টের ভেতরে আশ্রয় নিলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা হকিস্টিক, স্ট্যাম্প, রড এবং অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপরে হায়েনার মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে।’
বিবৃতিতে ‘ছাত্রদলের ৪৭জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন’ উল্লেখ করে বলা হয়, ‘ছাত্রদল এই পৈশাচিক এবং ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছে।’
আরও বলা হয়, ‘পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতো ছাত্রলীগের ক্যাডারদের এই নারকীয় হামলার প্রতিবাদে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ এবং সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল দুই দিনব্যাপী নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। আগামী শনিবার থেকে দেশের সকল জেলা ও মহানগর ইউনিটে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে। পরদিন রোববার দেশের সকল উপজেলা, থানা, পৌরসভা এবং কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।’
দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক সোহেল স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দলের সব স্তরের নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রক্টরকে অতিদ্রুত ‘পরিবেশ পরিষদ’-এর সভা আহ্বান করার অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের লাগাম টেনে বিশ্ববিদ্যালয়ে কার্যকর সহাবস্থান এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসের দায়ভার উপাচার্য এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বহন করতে হবে।