‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের প্রেরণা জোগায়’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর জীবন ও আদর্শ আমাদের প্রেরণা জোগায়। তিনি আরো বলেন, ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিকাশে ও এ অঞ্চলের জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সারাজীবন কাজ করেছেন। তাঁর অবদান জাতি সবসময় শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে। গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রা ও মানুষের কল্যাণে এ মহান নেতার জীবন ও আদর্শ আমাদের প্রেরণা জোগায়।’
আজ শনিবার হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। বার্তা সংস্থা বাসস এ খবর জানিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একজন প্রতিভাবান রাজনৈতিক সংগঠক হিসেবে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর দক্ষ পরিচালনায় গণমানুষের সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আরো বিকশিত হয়। তাঁর সুযোগ্য উত্তরসূরি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বলিষ্ঠ নেতৃত্ব পাকিস্তান সরকারের দমন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে। জাতির পিতার নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা পেয়েছি আমাদের মহান স্বাধীনতা।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘উপমহাদেশের মেহনতি মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী আজীবন সংগ্রাম করেছেন। তিনি ছিলেন একজন উদার ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রীসহ তৎকালীন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের গণবিরোধী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে এদেশের জনগণকে সোচ্চার ও সংগঠিত করেছিলেন।’
প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ৫৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে মারা যান। হাইকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়।