সুন্দরবনে বনদস্যুদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’, গুলিবিদ্ধ ৩
সুন্দরবনে দুই দল বনদস্যুর মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ চলাকালে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গতকাল শনিবার গভীর রাতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে এ বিষয়ে এখনো নিশ্চিত করে কিছু জানাতে পারেনি বন বিভাগ বা কোস্টগার্ড।
বন বিভাগের একটি সূত্র ও ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসা জেলেরা জানান, শনিবার গভীর রাতে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীর ধানসাগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বনদস্যু ভাই ভাই বাহিনী ও বারেক বাহিনী বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় ঘণ্টাখানেক উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বন্দুকযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ওই এলাকায় যেসব জেলে মাছ ধরছিলেন, তাঁরা দিগ্বিদিক হয়ে যে যাঁর মতো সরে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় দস্যুদের ছোড়া গুলিতে তিন জেলে গুলিবিদ্ধ হন।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে এসহাক আলীর (৩৫) বাড়ি বাগেরহাটের শরণখোলায় এবং ইউনুছ আলী (২৫) ও আমিনুল ইসলামের বাড়ি জেলার মোরেলগঞ্জে। আজ রোববার সকালে এসহাককে শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আর ইউনুছ আলী ও আমিনুলকে মোরেলগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
তবে এ সময় কোনো দস্যু আহত বা নিহত হয়েছে কি না, জানাতে পারেননি ঘটনাস্থল থেকে ফিরে আসা জেলেরা।
এদিকে, শ্যালা নদীতে বনদস্যুদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় জেলেদের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক মো. বেলায়েত হোসেন বলেন, বন্দুকযুদ্ধে তিন জেলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার কোনো খবর তিনি পাননি। তবে খোঁজখবর নিচ্ছেন।
শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এটা আমার এলাকার মধ্যের ঘটনা নয়। চাঁদপাই রেঞ্জে খবর নেন।’
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের (মংলা) অপারেশন অফিসার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার এম আলাউদ্দিন নয়ন জানান, কোস্টগার্ড সদস্যরা এ বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। ওই এলাকায় দস্যু দমনে অভিযান ও তল্লাশি শুরু করা হবে।