‘ধর্ষণ চেষ্টার’ বিচার গ্রাম্য আদালতে!
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক নারী ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনার পর স্থানীয়রা এক ব্যক্তিকে আটক করলেও ইউপি চেয়ারম্যান তাঁকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ছাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ ঘটনাটি গ্রাম্য আদালতে বিচার করছেন। তিনি ওই ইপি সদস্যের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেওয়ারও চেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, এমন ঘটনার বিচার গ্রাম্য আদালতে কখনই করা যায় না।
ওই ইউপি সদস্যের স্বামী জানান, গত ২৬ জানুয়ারি রাতে নাগরিক সদনপত্রে সুপারিশ নেওয়ার জন্য ওই নারী সদস্যের বাড়িতে যান ইউনিয়নের লক্ষ্মীকোল গ্রামের মিন্টু। ওই সময় বাড়িতে শুধু ইউপি সদস্যই ছিলেন। মিন্টু তাঁকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। পরে ওই সদস্যের চিৎকারে এলাকাবাসী গিয়ে এসে মিন্টুকে আটক করে।
ইউপি সদস্যের স্বামী আরো জানান, এ ঘটনায় ওই থানায় মামলা করতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ইউনিয়নের গ্রাম্য আদালতে বিচারের আশ্বাস দেন। তিনি মিন্টুকে গ্রামবাসীর কাছ থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যান। এ ঘটনায় বিচার না করে এখন ইউপি চেয়ারম্যান উল্টো তাঁদের ঘটনাটি সম্পর্কে কোথাও অভিযোগ না দিতে চাপ দেন বলেও অভিযোগ ওই ব্যক্তির।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান অশোক কুমার ঘোষ বলেন, ওই ঘটনায় বিচারকাজ শুরু করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে মিন্টু দোষী প্রমাণিত হয়েছে। তবে বিচারকাজ শেষ করতে সময় লাগবে। তবে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিতে চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনার বিচার করার ক্ষমতা ইউনিয়ন পরিষদের নেই। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।