স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট আসবে, রপ্তানিও হবে : তারানা হালিম
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম জানিয়েছেন, ইন্টারনেট সেবা প্রদানের জন্য প্রস্তুত আছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এর ফলে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ স্বল্পমূল্যে ইন্টারনেট সেবা পাবে। দেশের চাহিদা পূরণ করে ব্যান্ডউইডথ বিদেশে রপ্তানিও করা যাবে।
আজ বুধবার কুয়াকাটায় স্থাপিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন পরিদর্শন শেষে তারানা হালিম এ কথা জানান। চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই কেন্দ্র উদ্বোধন করবেন বলে তিনি জানান। এরপরই কেন্দ্রটি কাজ শুরু করবে।
পরিদর্শন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তারানা হালিম জানান, দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে এক হাজার ৫০০ জিবিপিএস সক্ষমতার দ্রুতগতির ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে বাংলাদেশ।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ১৭টি দেশের ১৯টি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সভা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এই সংযোগ চালু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর দেশজুড়ে ওই সংযোগ চালু হবে।
তারানা হালিম বলেন, ‘এ ক্যাবল খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ফরিদপুর এলাকায় স্বল্পমূল্যে ব্যান্ডউইডথ ইন্টারনেট সেবা দিতে পারবে। কারণ এখান থেকে ট্রান্সমিশন খরচ এ সমস্ত এলাকায় কম হবে। মূল সঞ্চালন লাইন ঢাকা পর্যন্ত শতভাগ বিস্তৃত হয়েছে এবং সম্পন্ন হয়েছে। আমরা এ লিঙ্কটি দুইবার ইতিমধ্যে পরীক্ষা করেছি। ঢাকা পর্যন্ত সঠিকভাবে এটি কাজ করছে।’
ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, দেশে নিরবচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করতে ৭০০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে কুয়াকাটায় নির্মিত হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। কক্সবাজারে স্থাপিত সাবমেরিন ক্যাবল ওয়ানের তুলনায় এটি প্রায় আটগুণ বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন।
তারানা হালিম আরো বলেন, ‘আমাদের যে কাজগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহ করতে পারে, আমরা সেগুলো সরকারি প্রতিষ্ঠান দিয়েই করাতে চাই। টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেশিস) প্রথমবারের মতো লাভজনক প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বলেছি টেশিসের যন্ত্রাংশ নেন। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো যদি লাভজনক হয় তাহলে কিন্তু সরকার ও জনগণই লাভজনক হয়। জনগণ সেবাটা পায়। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’