ই-টেন্ডারে ডিজিটাল বাধা!
টেন্ডার ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে দরপত্রে স্বচ্ছতা আনার কথা বলা হলেও ঠাকুরগাঁওয়ে ঘটেছে ভিন্ন ঘটনা। ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় এবার দরপত্র কেনার সুযোগই মেলেনি।
ঠিকাদারদের অভিযোগ, ইচ্ছাকৃতভাবে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সার্ভার ডাউন করে তাদের বঞ্চিত করে পছন্দের লোকদের টেন্ডারের শিডিউল কেনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর প্রকল্পের আওতায় ৬৪ লাখ টাকায় ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চাড়োল উচ্চ বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ঊর্ধ্বমুখী কাজের শিডিউল কেনার শেষদিন ছিল রোববার। ঠিকাদাররা সকালে ঠাকুরগাঁও যমুনা ব্যাংকে গেলে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সার্ভারে ত্রুটির কথা বলে তাদের শিডিউল দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে স্থানীয় ঠিকাদাররা ক্ষোভ প্রকাশ করে দরপত্র কেনার সময় বাড়ানোর দাবি জানান।
যমুনা ব্যাংকের দায়িত্বরত কর্মকর্তা মো. কায়েস জানান, সকাল থেকে ইন্টারনেটের সমস্যার কারণে টাকা জমা নেওয়া যাচ্ছে না। এ ছাড়া বেলা ১২টার মধ্যে শিক্ষা অধিদপ্তর সার্ভার বন্ধ করে দিয়েছে।
ঠিকাদার আমিনুল ইসলাম জানান, অফিস চলার সময় ব্যাংকে টাকা জমা নেওয়ার কথা বলা হলেও যমুনা ব্যাংকের কর্মীরা সার্ভারের সমস্যা দেখিয়ে সকাল থেকেই টাকা জমা বন্ধ করে দেন। যদিও এর আগে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টাকা জমার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকৌশলী প্রভাবশালীদের কাজটি বাগিয়ে দেওয়ার জন্য এমনটি করেছেন বলে মন্তব্য একাধিক ঠিকাদারের।
যমুনা ব্যাংকের ঠাকুরগাঁও শাখার ব্যবস্থাপক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘সার্ভার আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। যে প্রতিষ্ঠান দরপত্র আহ্বান করেছে সার্ভার তারাই নিয়ন্ত্রণ করে। সার্ভার বন্ধ হয়ে গেলে আমরা কীভাবে টাকা জমা করব?’
ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুল ইসলাম বলেন, ‘শেষ দিনে যাঁরা সময়মতো ব্যাংকে টাকা জমা করতে পারেননি তাঁদের ব্যাপারে আমাদের কিছু করার নেই। তবু ঠিকাদাররা যেহেতু অভিযোগ করেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’