বিক্ষোভ করে নেতাদের ছাড়িয়ে নিল ছাত্রলীগ
মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণের দাবিতে আজ শনিবার দুপুরে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই বিক্ষোভের পরই পুলিশ ছাত্রলীগের দুই নেতাকে ছেড়ে দিয়েছে। তাঁরা হলেন মানিকগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি তাপস সাহা ও সহসভাপতি সাইফুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের একটি কক্ষে কয়েকজন এইচএসসি পরীক্ষার্থী টেবিল চাপড়ে গান করেন। এ সময় গান গাওয়া নিষেধ করায় কলেজের অধ্যক্ষ ড. সৈয়দ মো. ইকবাল মঈজের ওপর হামলা চালায় ওই পরীক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় মানিকগঞ্জ সদর থানার একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ শুক্রবার রাতে তাপস সাহা, সাইফুল ইসলাম ও ছাত্রলীগকর্মী তাসমিন ইসলামকে আটক করে।
আটক করার প্রতিবাদে ও ওসির অপসারণের দাবিতে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ রফিক সড়কে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। বিক্ষোভে যোগ দেন যুবলীগের বেশকিছু নেতাকর্মীরাও। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা শহরের সড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে আশপাশের দোকান-পাট ও শহরে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এ সময় সদর থানার ওসি আমিনুর রহমান ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের হস্তক্ষেপে তখন পরিস্থিতি শান্ত হয়। এরপর দুপুর ১টার দিকে তাপস সাহা ও সাইফুল ইসলামকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর থানার ওসি আমিনুর রহমান জানান, অধ্যক্ষের ওপর হামলার ঘটনায় পৌর ছাত্রলীগের কর্মীরা জড়িত বলে জানা যায়। এ কারণে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই তিনজনকে থানায় আনা হয়েছিল। ওই ঘটনার বিষয়ে তাপস ও সাইফুলের কাছে কোনো তথ্য না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়। আর তাসকিনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার আদালতে হাজির করে তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত আগামী ২৩ জুন রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করে তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।