বিক্ষোভের মুখেও একই কথা বিমানমন্ত্রীর
ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পরিদর্শনে গিয়ে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েছেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তবে বিক্ষোভের মুখেও সেখানে বিমানবন্দর পুনরায় কবে চালু হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস দেননি মন্ত্রী।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পরিদর্শনে যান রাশেদ খান। সেখানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে অর্থনৈতিক উন্নতি ঘটেছে তার ফলে মানুষের মধ্যে আর্থিক সচ্ছলতা এসেছে। সেই আর্থিক সচ্ছলতার কারণে মানুষ আজ অনেক দূরের পথের জন্য বিমানের ওপর নির্ভর করছে। সেই দিক থেকে আমি মনে করি যে কেবলমাত্র ঠাকুরগাঁও নয়, ঈশ্বরদী, লালমনিরহাট এগুলোকে আমাদের পর্যায়ক্রমে চালু করতে হবে।’
তবে মন্ত্রীর এসব কথায় আশ্বস্ত হননি ঠাকুরগাঁও এলাকার বাসিন্দারা। তাই তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মন্ত্রীর গাড়ি অবরুদ্ধ করেন। নাগরিক সমাজের ব্যানারে আন্দোলনকারীরা এ বিক্ষোভ করেন।
এ সময় মন্ত্রী গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালুর ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের আন্তরিকতা আছে।’ সার্কিট হাউস থেকে পীরগঞ্জ উপজেলায় যাওয়ার পথে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তা মোড়ে এই বিক্ষোভের মুখে পড়েন মন্ত্রী।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন বলেন, ‘এর আগে বিমানমন্ত্রী ঠাকুরগাঁওয়ে এসে এক বছরের মধ্যে বিমানবন্দর চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু এক বছর পরে মন্ত্রী আবার পরিদর্শনে এলেও সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন হয়নি। আজ পরিদর্শনকালেও মন্ত্রী বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলেননি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, ‘বিমানবন্দর চালুর জন্যই আমরা মন্ত্রীর গাড়ি আটকে ছিলাম, তবু বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে নির্দিষ্ট প্রতিশ্রুতি পাইনি।’
বিক্ষোভকারীদের আরেকজন স্থানীয় বাসিন্দা আনসারুল ইসলাম লিটন জানান, অচিরেই বিমানবন্দর চালু না হলে তাঁরা আরো কঠোর আন্দোলন শুরু করবেন।
এর আগে গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ে পরিত্যক্ত বিমানবন্দর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাশেদ খান। ওই সময়েও তিনি পরিত্যক্ত বিমানবন্দর চালুর আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই আশ্বাস আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
তাই আজকে মন্ত্রীর সফর নিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দারা আশা করেছিলেন, মন্ত্রী হয়তো সেখানকার বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু বলবেন। কিন্তু সর্বশেষ তাঁর কাছ থেকে বিমানবন্দর চালুর বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো আশ্বাস পেলেন না ঠাকুরগাঁওবাসী।
বিমানবন্দর পরিদর্শনে মন্ত্রীর সঙ্গে আরো উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য দবিরুল ইসলাম, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ইয়াসিন আলী ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ সাদেক কুরাইশী, জেলা প্রশাসক আবদুল আওয়াল প্রমুখ।
পরে বিমানমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন পীরগঞ্জ উপজেলায় ওয়ার্কার্স পার্টির সভায় যোগ দেন।