তৃতীয় দিনের মতো অচল ইবি
তৃতীয় দিনের মতো কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলছে। চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা গত সোমবার, ২২ জুন প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন। আর গতকাল মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনের সামনে ও পেছনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন চাকরিপ্রত্যাশীরা। আজ বুধবারও প্রশাসনিক ভবনসহ এর সামনে ও পেছনের দুই ফটক তালাবন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া তালাবদ্ধ রয়েছে বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির প্রধান ফটকও।
গতকালের মতো আজও সকাল থেকেই কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো পরিবহন ক্যাম্পাসে যায়নি। ফলে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তারা ক্যাম্পাসে যেতে না পারায় পূর্বনির্ধারিত ক্লাস অনুষ্ঠিত হয়নি। বন্ধ রয়েছে পরীক্ষাও।
এদিকে সেশনজট কমাতে রোজার ছুটি কিছুটা কমিয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও তা কার্যকর হচ্ছে না। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জুন ক্লোজিং, বাজেট প্রণয়ন, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা সংক্রান্ত সব কার্যক্রমই বন্ধ রয়েছে। রোজা ও ঈদ উপলক্ষে আগামী ৪ জুলাই থেকে ইবিতে ছুটি ঘোষণা করা হবে। এমন অবস্থায় দ্রুত ইবির অচলাবস্থার সমাধান চান সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুল হাকিম সরকার অচলাবস্থার কথা স্বীকার করে জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আর এ জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার ইবি প্রশাসনের জরুরি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত শনিবার হিসাববিজ্ঞান বিভাগের নিয়োগ বোর্ডে নিয়োগ পাওয়া আটজনের অধিকাংশই জামায়াত ও বিএনপিপন্থী দাবি করে ক্ষুব্ধ চাকরিপ্রত্যাশী ছাত্রলীগের সাবেক নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের অফিসসহ প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেন।