সুন্দরবনের আলিফ ও কবিরাজ বাহিনীর আত্মসমর্পণ
সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু হিসেবে পরিচিত আলিফ বাহিনীর ১৯ সদস্য ও কবিরাজ বাহিনীর ছয় সদস্য আত্মসমর্পণ করেছেন। এ সময় তাঁদের কাছে থাকা বিপুল পরিমাণ অস্ত্রও জমা দেন তাঁরা।
আজ শনিবার দুপরে পটুয়াখালীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জলদস্যুরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় আলিফ বাহিনীর প্রধান আলিফ ওরফে দয়াল, কবিরাজ বাহিনীর প্রধান ইউনূস আলী মোল্লা ওরফে কবিরাজ ওরফে দয়ালসহ মোট ২৫ জন জলদস্যু আত্মসমর্পণ করেন।
শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ আত্মসমর্পণের আয়োজন করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৮) পটুয়াখালী ক্যাম্প। এ সময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, র্যাব ৮-এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মো. আনোয়ার উজ জামানসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওই অনুষ্ঠানে এর আগে আত্মসমর্পণ করা ছোট রাজু বাহিনীর ১৫ জন জলদস্যুর যেসব সদস্য কারাগারে রয়েছেন, তাঁদের পরিবারের মাঝে অনুদান দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা ও বস্ত্র বিতরণ করা।
ব্যার-৮ ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, আত্মসমর্পণকারী জলদস্যু বাহিনীর সদস্যরা দেশি-বিদেশি ৩১টি বিভিন্ন ধরনের আগ্নেয়াস্ত্র, এক হাজার ১১০টি গোলাবারুদ জমা দেন। তাঁদের সবার বাড়ি সাতক্ষীরা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়।