বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে তল্লাশির প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ‘আদালতের নির্দেশে’ অভিযান চালায় গুলশান থানার পুলিশ। এর পরই রাজধানীর রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচির কথা জানান।

রিজভী বলেন, এই তল্লাশি অভিযান কাপুরুষোচিত। আওয়ামী লীগ সরকারের গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই তল্লাশি চালানো হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার বিএনপি ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।’

এর আগে জাতীয়তাবাদী যুবদলও বিক্ষোভের কর্মসূচি ঘোষণা করে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোর্ত্তাজুল করিম বাদরু এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে তল্লাশির প্রতিবাদে আগামীকাল রোববার ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল হবে।’

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিক থেকে অতিরিক্ত পুলিশ সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তাঁরা কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে তল্লাশি শুরু করে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় তল্লাশি করে সকাল পৌনে ১০টার দিকে কার্যালয় ছেড়ে চলে যায় গুলশান থানার পুলিশ।  

বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শামসুদ্দীন দিদার ও শায়রুল কবীর খান এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি জানিয়েছেন। তল্লাশির খবর পেয়ে সকাল পৌনে ৯টার দিকে গুলশানের কার্যালয়ে যান রুহুল কবির রিজভী ও যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেল।

তবে এ ব্যাপারে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বার্তা সংস্থা ইউএনবিকে জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ রয়েছে ওই কার্যালয়ে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কি না সেটি খতিয়ে দেখার। আদালতের নির্দেশেই তল্লাশি চালানো হয়েছে।

সাধারণত বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের সামনে পুলিশ থাকে না। এলাকার নিরাপত্তার জন্য ৮৬  নম্বর রাস্তায় কিছু পুলিশ থাকে। আজ সকাল থেকে গুলশান থানার অতিরিক্ত পুলিশ কার্যালয়ের বাইরে অবস্থান নেয় বলে জানান শায়রুল কবীর খান। তিনি আরো জানান, পরে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ কার্যালয়ের ভিতরে প্রবেশ করে এবং তল্লাশি চালায়।