বিদ্যুৎহীন গ্রামে অনেকেই বিয়ে দিতে চায় না : ভূমিমন্ত্রী
বাংলাদেশের যে গ্রামে বিদ্যুৎ নেই, সেই গ্রামে অনেকেই বিয়ে দিতে চায় না মন্তব্য করে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেছেন, ২০১৮ সালের মধ্যে দেশের সব নাগরিকের জন্য বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করছেন।
গতকাল শুক্রবার রাতে পাবনার ঈশ্বরদীর জয়নগরে একটি মাঠে ‘মেসার্স খায়রুল ফিলিং স্টেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী এই মন্তব্য করেন।
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ার প্রতিটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশের উন্নয়নে শিল্প, কৃষি, কলকারখানা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও বাড়িঘরে বিদ্যুৎ অত্যন্ত জরুরি। ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ায় স্থাপিত শিল্প কলকারখানা, ইপিজেড, পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ সব স্থানে বিদ্যুতের চাহিদা ব্যাপক। সঠিক কাজে পরিমিত বিদ্যুৎ ব্যবহার দেশকে উন্নত করবে।
মন্ত্রী বলেন, ঈশ্বরদীতে আণবিক শক্তি কমিশন, পাবনা থেকে ঢালারচর পর্যন্ত ট্রেন লাইন সংযোগ স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। পাবনা তথা উত্তরবঙ্গে শিল্প স্থাপন ও ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারে সরকার অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
শামসুর রহমান বলেন, প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো, রাস্তাঘাট সংস্কার, পাকা রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষজনের চলাচলের সুবিধা করে দেওয়াও সরকারের অঙ্গীকার। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার আইনের শাসনকে সব সময় প্রাধান্য দিয়ে এসেছে।
খায়রুল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন পাবনা চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও শিল্পপতি আবদুল লতিফ বিশ্বাস, শফিক গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. শফিকুল ইসলাম খান মাজেদ, সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মজিদ বাবলু মালিথা, নাটোর জেলার বড়াইগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ফজলুর রহমান মল্লিক, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বপন কুমার কুণ্ডু, সাধারণ সম্পাদক এম এ বাতেন প্রমুখ।