নৌযানের ধাক্কায় সেতু ভেঙে নদীতে
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় বালুবাহী বাল্কহেডের (ইঞ্জিনচালিত ট্রলার) ধাক্কায় একটি সেতু ভেঙে নদীতে পড়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে উপজেলার আমিরাবাদ বাজারসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আমিরাবাদ এলাকার সঙ্গে বরিশালের শেরেবাংলা গ্রামের বাসিন্দাদের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
২০০ মিটার দীর্ঘ আয়রন সেতু ভেঙে পড়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সেতু দিয়ে চলাচলকারী বাজারের আশপাশের শত শত মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কালিজিরা নদী দিয়ে বালুবাহী একটি বাল্কহেড বরিশালের দিকে যাওয়ার সময় আয়রণ সেতুর বিমের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে মুহূর্তে সেতুর পশ্চিম পাশের বেশির ভাগ অংশ ভেঙে নদীতে পড়ে যায়। এ সময় সেতুর ওপরে থাকা এক নারীসহ তিনজন নদীতে পড়ে যায়। পরে তারা সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হয়। বাল্কহেডটি সেতুর পূর্বপাশে লোহার বিম ও পাটাতনের সঙ্গে আটকে যায়। বাল্কহেড ও সেতুর ভেঙে যাওয়া অংশ উদ্ধারের জন্য বরিশালের ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। ঘটনার পরপরই বাল্কহেডের চালক সরোয়ার হোসেনকে পুলিশ আটক করেছে বলে জানিয়েছেন নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান।
আমিরাবাদ এলাকার বাসিন্দা আহসান কবির জনি বলেন, ‘আজ বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বিকট শব্দ শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। গিয়ে দেখি আমিরাবাদ বাজারসংলগ্ন সেতুটি ভেঙে পড়ে আছে। সেতুর নিচে আটকে আছে বালু পরিবহনকারী বাল্কহেড। সেতু ভেঙে পড়ায় শুধু ঝালকাঠির আমিরাবাদ বাজার ও ওপারে বরিশালের শেরেবাংলা বাজারে আসা মানুষই নয়, দুর্ভোগে পড়েছেন সেতু দিয়ে চলাচলকারী স্থানীয় বাসিন্দারা। বিকল্প যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় অনেকে বাধ্য হয়ে নৌকায় নদী পারাপার করছেন। দ্রুত নতুন করে সেতুটি দ্রুত নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।’
এ দিকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে বরিশাল-৫ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য জেবুন্নেছা আফরোজ, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহা এবং এলজিইডি বিভাগের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঝালকাঠি এলজিইডি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সহকারী প্রকৌশলী ফুলকাম বাদশা বলেন, জনগুরুত্বপূর্ণ এ সেতুটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্মাণের জন্য এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জানানো হয়েছে।
ঝালকাঠি এলজিইডি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৫ বছর আগে ৪৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০ মিটার দীর্ঘ লাইট ট্রাফিক আয়রন সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল।