হামলার ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে কেউ নিরাপদ নয় : ফখরুল
রাঙামাটি যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় বিএনপি প্রতিনিধি দলের গাড়িবহরে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালী এলাকায় এ হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি দাবি করেন, হামলা ও ভাঙচুরের সময় দুর্বৃত্তরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়।
হামলার পর পরই বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের জন্য যাচ্ছিলাম। মূল সড়ক বন্ধ থাকায় রাঙ্গুনিয়া, কাপ্তাই হয়ে যাচ্ছিলাম। পথে ৫০ থেকে ৬০ জন দুর্বৃত্ত লাঠিসোটা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে গাড়িবহরে হামলা চালায়। তাঁরা অনবরত পাথর নিক্ষেপ করে।’
‘আমার গাড়িটি বহরের সামনের দিকে ছিল। হামলায় গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। আমার গাড়িতে থাকা চারজনই এ সময় আহত হয়। আমার বুকে-পিঠে পাথর লাগে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল রুহুল আলম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীমও আহত হয়েছেন।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখানে আজকে হামলার ঘটনায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে, আমাদের লেবেলে যদি আক্রমণ করতে পারে… তাঁরা যেকোনো পর্যায়ে যেতে পারে… তাদের হাতে কোনো মানুষ নিরাপদ হতে পারে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এই দেশে কোনো সভ্য মানুষ বাস করতে পারে না।’
হামলার ব্যাপারে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
হামলার পর বিএনপির প্রতিনিধিদল রাঙামাটি না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তাঁরা রাঙ্গুনিয়া এলাকার পোমড়া খাঁ মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থান নেন। পরে তাঁরা চট্টগ্রাম শহরের দিকে রওনা দেন।
মির্জা ফখরুল চট্টগ্রাম ফিরে সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানান বিএনপি নেতারা।
এদিকে হামলার জন্য আওয়ামী লীগ নেতা ও ওই এলাকার সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদের সমর্থকদের দায়ী করেন বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। হামলার সময় দুর্বৃত্তরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয় বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির এ নেতা।