উত্ত্যক্ত করতে মানা করায় সেনা সদস্যের ওপর হামলা
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বড়টিয়া গ্রামে মৃত্যুঞ্জয় কুমার দাশ (২৩) নামের এক সেনা সদস্যকে কুপিয়ে জখম করেছে বখাটেরা। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই বখাটেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রামের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করায় বখাটেরা মৃত্যুঞ্জয়ের ওপর হামলা চালায় বলে জানা গেছে। আহত মৃত্যুঞ্জয় বরটিয়া গ্রামের সুবল দাশের ছেলে।
গতকাল রোববার রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত মৃতুঞ্জয় কুমার দাশ রাঙামাটিতে সেনাবাহিনীর সৈনিক পদে নিয়োজিত।
স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, বরটিয়া গ্রামের ছেলেমেয়েরা বেশিরভাগই পাশের ফুলহারা গ্রামের স্কুলে পড়াশোনা করে। দীর্ঘদিন ধরে ফুলহারা গ্রামের সোহান, নিশান, নিটু, বাবু, সাঈদ, জহিরুল নামের কয়েকজন বখাটে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বরটিয়া গ্রামের মেয়েদের উত্ত্যক্ত করে। বরটিয়া গ্রামের অভিভাবকরা এর প্রতিবাদ করলেও কোনো কাজ হয়নি। উল্টো বরটিয়া গ্রামের ছেলেদের বেশ কয়েকবার মারপিট করেছে ফুলহারা গ্রামের বখাটেরা।
গতকাল রোববার বিকেলে সেনা সদস্য মৃত্যুঞ্জয় ওই বখাটেদের ডেকে এনে মেয়েদের সাথে অশালীন আচরণ করতে নিষেধ করেন। এর কয়েক ঘণ্টা পর ৯টার দিকে বরটিয়া বাজারে ওই বখাটেরা চাইনিজ কুড়ালসহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মৃত্যুঞ্জয়কে কুপিয়ে জখম করে। তাঁকে রক্ষায় বাজারের লোকজন এগিয়ে এলে অন্যরা পালিয়ে যায়। তবে ফুলহারা গ্রামের আকবর আলীর ছেলে সোহান (২০) ও নবু মেম্বারের ছেলে নিশানকে (২২) গ্রামবাসী ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
মৃত্যুঞ্জয়কে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, উত্ত্যক্ত করতে বারণ করায় তাঁর ওপর হামলা হয়েছে। তবে এভাবে হঠাৎ করে তাঁর ওপর হামলা হবে তিনি বুঝতে পারেননি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলম জানান, এ ঘটনায় দুই বখাটেকে একটি চাইনিজ কুড়ালসহ আটক করা হয়েছে। সন্ত্রাসী হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে দুজনকেই আজ সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও তিনি জানান।