হুমকি, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ
নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রথমে প্রেম। এরপর আপত্তিকর ছবি মুঠোফোনে ধারণ। ওই ছবি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। তাতেও কাজ না হওয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়েছে।
এই অভিযোগে ওই ছাত্রীর বাবা আজ সোমবার দুপুরে প্রতিবেশী সোহাগ মিয়ার (২২) বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কলিয়া ইউনিয়নে।
ওই ছাত্রী ও তার স্বজনরা জানায়, প্রায় চার বছর ধরে প্রতিবেশী সোহাগ ওই ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। সোহাগ ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শেষ বর্ষের ছাত্র। সেখানে তিনি লেখাপড়া করলেও কিছুদিন পর পর বাড়িতে এসে মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতেন। মাস খানেক আগে সোহাগ মেয়েটির সাথে নির্জন স্থানে দেখা করেন এবং বিবস্ত্র করে মুঠোফোনে ছবি তোলেন। সোহাগ ওই ছবি ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। তাতেও কাজ না হওয়ায় নানাভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখান। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সোহাগ মেয়েটিকে নিজ বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণ করেন। প্রতিবেশীরা তা টের পেয়ে তাঁদের হাতেনাতে ধরে আটকে রাখে।
মেয়েটির বাবা জানান, ধরা পড়ার পর মেয়েটি স্বজনদের কাছে হুমকি ও বিয়ের প্রলোভনে চারবার ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে। এ ঘটনায় কলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা সুবিচার করার আশ্বাস দিয়ে এক সপ্তাহ কালক্ষেপণ করেন। এরপর আজ সোমবার দুপুরে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে তিনি দৌলতপুর থানায় গিয়ে মামলা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা বলেন, ‘ছেলেপক্ষ অনেক প্রভাবশালী ও ধনী। তাদের সালিশে বসানোর জন্য অনেক চেষ্টা করি আমি। কিন্তু অনেক বুঝিয়েও তাদের রাজি করানো যায়নি।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল নিশাত জানান, আগামীকাল মঙ্গলবার মেয়েটিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। আর আসামিকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।