বরেণ্য সাংবাদিক আতাউস সামাদের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
বরেণ্য সাংবাদিক, এনটিভির সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউস সামাদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিক মঙ্গলবার পালিত হয়েছে। ২০১২ সালের এইদিনে ৭৫ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেন সাংবাদিকতায় গৌরবময় অবদান রাখা এই সাংবাদিক।
বাবার মৃত্যুতে না কাঁদলেও আতাউস সামাদের মৃত্যুতে কেঁদেছিলেন আরেক বরেণ্য প্রয়াত সাংবাদিক এবিএম মূসা। ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিনের কাছে আতাউস সামাদ ছিলেন বস্তুনিষ্ঠ, অনুসন্ধানী এবং জাগরণী চেতনার নাম। আতাউস সামাদ সম্পর্কে অনেক গুণী মানুষের এমন অনেক মূল্যায়ন রয়েছে, যা তিনি অর্জন করে গেছেন ৫৬ বছরের সাংবাদিকতায়। ১৯৫৬ সালে সচিত্র সন্ধানী দিয়ে যার সাংবাদিকতা শুরু, মৃত্যুর আগমুহূর্তও ছিলেন এই পেশায়।
সচিত্র সন্ধানী থেকে দৈনিক আজাদ, পাকিস্তান অবজারভার, দ্য সান, বাসস হয়ে ১৯৮২ সালে আতাউস সামাদ যোগ দেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে। প্রায় একযুগ বিবিসিতে সাংবাদিকতায় জনমানুষের আরো কাছে চলে আসেন এই বরেণ্য সাংবাদিক। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও নেতৃত্ব দিয়েছেন এই পেশায়। সাহসী সাংবাদিকতার কারণে তাঁকে গ্রেফতার করেছিলো স্বৈরাচার এরশাদ সরকার। দীর্ঘ ২০ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে খন্ডকালীন শিক্ষকতা করা আতাউস সামাদ আমার দেশ পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদক এবং ২০০৭-৮ সালে এনটিভির সংকটকালীন সময়ে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন।
বিলুপ্ত সাপ্তাহিক এখন পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক আতাউস সামাদ লেখালেখি করেছেন দেশ-বিদেশের অনেক পত্রিকায়। ১৯৩৭ সালের ১২ই নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন আতাউস সামাদ। জলপাইগুড়িতে ছাত্র জীবন শুরু করা এই সাংবাদিক ইংরেজীতে মাস্টার্স করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।একুশে পদক সহ অসংখ্য পদক ও সম্মানে ভূষিত হন 'এ কালের বয়ান' গ্রন্থ লিখে সবকালের পাঠকের মন জয় করা সাংবাদিক আতাউস সামাদ।