পরিবারের দাবি অভিযানের সময় কিছুই পায়নি র্যাব
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম খানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মাদক মামলাটি সাজানো বলে দাবি করেছে তাঁর পরিবার। সেইসঙ্গে এই মামলা প্রত্যাহার এবং তাঁর মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। তবে র্যাবের দাবি নূরে আলম একজন মাদক বিক্রেতা।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দপদপিয়া জিরো পয়েন্ট এলাকায় এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেয়।
মানবন্ধনে অংশ নিয়ে যুবলীগ নেতা নূরে আলম খানের স্ত্রী মারুফা আক্তার পপি অভিযোগ করে বলেন, তাঁর স্বামী দপদপিয়া ইউনিয়ন পরিষদে আগামীতে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল মৃধা নূরে আলমে বিরুদ্ধে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করছেন। এমনকি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) দিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়ে তাঁকে ফেনসিডিল দিয়ে গ্রেপ্তার করিয়েছেন।
পপি তাঁর স্বামীকে নির্দোষ দাবি করে বলেন, গত ২৮ জুলাই রাত দেড়টার দিকে দপদপিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন তাঁদের বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। এ সময় বাসা থেকে নূরে আলমকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় বাসা থেকে কোনো মাদকদ্রব্য পায়নি র্যাব। পরে তাকে ৩২০ বোতল ফেনসিডিল ও ২০ লিটার তরল ফেনসিডিল দিয়ে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
পপির দাবি, তাঁর স্বামীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাই তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন নলছিটি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বজলুর রহমান, ইউনিয়ন যুবলীগের সহসভাপতি শাহীন সরদার, ওয়ার্ড সভাপতি মনির জোমাদ্দারসহ অন্যরা।
তবে বরিশাল র্যাব ৮-এর উপসহকারী পরিচালক আবদুর রহিম জানান, গত ২৮ জুলাই দপদপিয়া খেয়াঘাট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নূরে আলম খানকে তাঁর বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ৩২০ বোতল ফেনসিডিল ও ২০ লিটার তরল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় পরের দিন সকালে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নলছিটি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।
নূরে আলম খান একজন মাদক বিক্রেতা বলেও জানান আবদুর রহিম।