ভোলায় গ্রাম প্লাবিত, ভাসিয়ে নেওয়া শিশুদের উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেনের’ প্রভাবে ভোলার পাঁচ উপজেলার অন্তত ৪০টি গ্রাম অতি জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি জয়েছে হাজারো মানুষ। এ ছাড়া আজ শনিবার জোয়ারে ১২ স্কুলশিক্ষার্থী ভেসে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যে পর্যায়ক্রমে সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে।
‘কোমেনের’ প্রভাবে মেঘনা ও তেতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে জেলার চরফ্যাশন উপজেলার ঢাল চর, কুকরী-মুকরী, চর পাতিলায় মনপুরার ঢালচর, কলাতলীর চর, সাকুচিয়া, তজুমদ্দিন উপজেলার পাতারচর, চর জহিরুদ্দিন, দৌলতখান উপজেলার মেদিয়া, মদনপুর, চর নেয়ামতপুর, ভবানীপুর, বোরহানউদ্দিন উপজেলার কুতবা, টবগী ও সদরের রাজাপুর, ভেদুরিয়া, ভেলুমিয়া, কাচিয়াসহ নিম্নাঞ্চলের অন্তত ৪০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। একই সঙ্গে কোথাও কোথাও বৃষ্টির সঙ্গে ঝড়ো বাতাস হচ্ছে। বন্ধ রয়েছে প্লাবিত এলাকার সব ধরনের যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এদিকে চরফ্যাশন উপজেলার চর কুকরী-মুকরী ইউনিয়নের চর পাতিলায় শরীফপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি জোয়ারের সময় ছুটি দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বাড়ি ফেরার পথে ১২ শিক্ষার্থী পানিতে ভেসে যায়।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা প্রাথমিকভাবে প্রথম শ্রেণির ফারজানা, ইভা, শান্তা, সালমা এবং দ্বিতীয় শ্রেণির সুমাইয়া, রাবেদ ও নীলিমাকে উদ্ধার করে বলে জানান কুকরী-মুকরীর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, উদ্ধার করা সাত শিশুকে চরফ্যাশন গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক এনটিভি অনলাইনকে জানান, ঘটনার দুই ঘণ্টা পর বাকি পাঁচ স্কুলশিক্ষার্থীকেও উদ্ধার করেছে স্থানীয়রা। এখন আর নিখোঁজ নেই।