পুলিশের সামনে বন্ধ, চলে গেলেই শুরু
বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ঝালকাঠি দিয়ে দেদার চলছে নিষিদ্ধঘোষিত ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলারসহ তিন চাকার যানবাহন। পুলিশের অভিযানের খবর পেলেই কিছুক্ষণের জন্য মহাসড়কে চলাচল বন্ধ রাখেন এসব যানবাহনের চালকরা। পুলিশ চলে গেলেই আবার শুরু হয় যাত্রী পারাপার। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তাদের অভিযান অব্যাহত আছে এবং মহাসড়কে এ ধরনের যান চলতে দেওয়া হচ্ছে না।
ঝালকাঠি জেলায় সবচেয়ে ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলারসহ তিন চাকার যানবাহন চলাচল করে বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের দপদপিয়া সেতু থেকে বাকেরগঞ্জ পর্যন্ত। আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নলছিটি থানার সেকেন্ড অফিসার উপপরিদর্শক আবদুর রহিমের নেতৃত্বে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কে অভিযান চালানো হয়।
এ সময় থ্রি-হুইলার চলাচল বন্ধ থাকলেও দুপুরে পুলিশ চলে আসার পরে আবারও চলাচল করতে দেখা গেছে এসব যানবাহন। তবে পুলিশ বলছে তাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরিশালের রূপাতলী থেকে এক ঘণ্টা পরপর ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার ও তিন চাকার মাহিন্দ্রা গাড়ি ছেড়ে যায় বাকেরগঞ্জ ও নলছিটির উদ্দেশে। দুই উপজেলায় যাওয়ার জন্য ব্যাটারিচালিত থ্রি-হুইলার, মাহিন্দ্রা, টমটম গাড়ি ও রিকশা-ভ্যানের মতো এসব যানবাহন ব্যবহার করছে ব্যস্ততম বরিশাল-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক।
মহাসড়কে এসব যানবাহন চলাচল বন্ধের সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ঝালকাঠির বাসমালিক সমিতি। তা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানান সংগঠনের নেতারা।
ঝালকাঠি বাসশ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি বাহাদুর চৌধুরী বলেন, সরকারের নির্দেশ অমান্য করে এখনো ঝালকাঠির আঞ্চলিক মহাসড়কগুলোতে চলেছে অবৈধ যানবাহন। পুলিশ তাদের কেন আটকাচ্ছে না, আমরা জানি না। শুনেছি পুলিশ থাকলে এসব যানবাহন চলে না। আবার এটাও শুনি, পুলিশ গেলেই তারাও সড়কে যাত্রী নিয়ে নেমে পড়ে।’
এ ব্যাপারে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাকসুদুর রহমান জানান, পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে। সরকারের নির্দেশনা যতদিন চলবে, ততদিন অভিযানও চলবে।