টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ধর্ষণের পর হত্যা, সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে আইন বিভাগের ছাত্রী রূপা খাতুনকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় মোট নয়জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান জানান, বুধবার টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম দিন মামলার বাদী মধুপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম। বাকি সাক্ষীর জন্য পর্যায়ক্রমে আগামী রোববার ও সোমবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
গত বছরের ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ছোঁয়া পরিবহনের শ্রমিকরা রূপা খাতুনকে চলন্ত বাসে প্রথমে ধর্ষণ করে। এরপর তারা রূপার ঘাড় মটকে হত্যা করে টাঙ্গাইলের মধুপুর বন এলাকায় ফেলে রেখে যায়। মধুপুর থানার পুলিশ ওই রাতেই রূপার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করে। একই সঙ্গে ওই থানার পুলিশ বাদী হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
গত বছরের ২৮ আগস্ট মধুপুর থানায় গিয়ে লাশের ছবি দেখে রূপাকে শনাক্ত করেন তাঁর ভাই হাফিজুর রহমান। পরে পুলিশ ছোঁয়া পরিবহনের চালক হাবিবুর (৪৫), বাসের তত্ত্বাবধায়ক সফর আলী (৫৫) এবং বাসচালকের সহকারী শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীরকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। পুলিশের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেয়।
গত ৩১ আগস্ট রূপার লাশ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে উত্তোলন করে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে তাঁকে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার নিজ গ্রাম আসানবাড়িতে বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।