দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর জন্য সরকারই চেষ্টা চালাচ্ছে : ২০ দল
সরকার দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসেবে প্রচারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোট। জোটের নেতারা মনে করেন, এ কারণেই দেশে গুম, খুন, শিশু হত্যা, নারী নির্যাতন ও ব্লগার খুনের ঘটনা বাড়ছে।
জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে এ সব ঘটনা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেন তাঁরা।
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ২০-দলীয় জোটের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব কথা বলা হয়। গতকাল বুধবার খালেদা জিয়া ২০-দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের জানাতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় সেখানে ২০-দলীয় জোটের মহাসচিবরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বলেন, ২০ দলের ঐক্য অটুট রয়েছে এবং থাকবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘বর্তমান ক্ষমতাসীন দল বিরোধী দলে থাকতেও এ দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র হিসেবে প্রমাণ ও প্রচারের অপচেষ্টা চালিয়েছিল। এখনো সেই জুজুর ভয় দেখিয়ে তারা মুক্তবিশ্বের সহানুভূতি আকৃষ্টের জন্য কাজ করছে।
আর সে জন্যই গুম, খুন, শিশু হত্যা, নারী নির্যাতন, ব্লগার খুনের ঘটনা নির্বিঘ্নে বেড়ে চলেছে। দায়ীরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না। শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী বা জঙ্গিরাষ্ট্র বানানোর সরকারি চক্রান্ত থেকে সজাগ থাকার এবং তা প্রতিহত করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘মনেই হয় না আমরা কোনো সভ্য দেশে বাস করছি এবং দেশে কোনো সরকার আছে। দেশের কোনো নাগরিকই আজ নিরাপদ নয়। এমনকি মায়ের পেটের শিশুও নয়। অথচ সরকারের দাবি, দেশের মানুষ নাকি শান্তিতে আছে।’
নজরুল ইসলাম খান আরো বলেন, ‘দেশে চলমান গুম, খুন, মামলা, হামলা ও দখলের রাজনীতি বন্ধ, জনগণের মৌলিক মানবাধিকার ও অর্থনৈতিক সংকট মুক্তি আজ সময়ের দাবি। ২০ দল মনে করে, জনগণের নির্বাচিত এবং জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকারই শুধু তা নিশ্চিত করতে পারে। আর সে কারণে ২০ দল নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য নির্দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন চায়। দেশের জনগণ এ দাবিতে ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু সরকার সীমাহীন দমন-নিপীড়ন চালিয়ে জনগণের এই আকাঙ্ক্ষাকে ব্যর্থ করে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।’
সরকারি মদদে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে লুটপাট চালানো হচ্ছে- এমন অভিযোগ করে বেসিক ব্যাংকসহ সব আর্থিক কেলেঙ্কারির হোতাদের বিচারের দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।