এমপি রানার উপস্থিতিতে ফারুক হত্যার সাক্ষ্য শুরু
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ রোববার সকালে টাঙ্গাইলের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
এ মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার উপস্থিতিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মামলার বাদী ও নিহত মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের স্ত্রীর সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে।
এর আগে অসুস্থতার কারণে আমানুর রহমান খান রানাকে আদালতে হাজির না করায় এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ চারবার পিছিয়ে যায়।
অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি মনিরুল ইসলাম খান জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আজ রোববার সাক্ষীর জন্য মামলার বাদী নিহত ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ, ছেলে আহমেদ মজিদ সুমন ও মেয়ে ফারজানা আহমেদ মিথুনের হাজিরা দেওয়া হয়। মামলার অপর আসামি কারাগারে আটক আসামি আনিসুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী ও মো. সমিরকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা অপর তিন আসামি মাসুদুর রহমান, ফরিদ আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নুরু আদালতে হাজির হয়েছেন।
এদিকে, কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে এ হত্যা মামলার প্রধান আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাকে সকাল সাড়ে ৯টায় আদালতে আনা হয়।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার তিন দিন পর নিহতের স্ত্রী নাহার আহমেদ বাদী হয়ে টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
২০১৪ সালের আগস্টে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের তদন্তে এই হত্যায় আমানুর রহমান খান ও তাঁর ভাইদের নাম সামনে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় গোয়েন্দা পুলিশ।
এ মামলায় আমানুর রহমান খান ছাড়াও তাঁর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জন আসামি রয়েছেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত।