দীঘিনালায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
খাগড়াছড়ি শহরে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে দুদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা উপজেলায় পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে।
দীঘিনালার মাইনী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। দীঘিনালা উপজেলায় এক হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬৫টি পরিবার অবস্থান করছে।
উপজেলার মেরুং এলাকায় সেতু তলিয়ে যাওয়ায় দীঘিনালার সঙ্গে রাঙ্গামাটির লংগদু সড়কে দ্বিতীয় দিনের মতো যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। দ্বিতীয় চেঙ্গি সেতুর রাস্তার মাটি সরে যাওয়ায় জেলা শহরের সঙ্গে গঞ্জপাড়া এলাকার যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
জেলা শহরের মুসলিমপাড়া, গঞ্জপাড়া, শান্তিনগর, আরামবাগসহ ৩৫টি গ্রাম থেকে পানি নেমে যাওয়ায় নয়টি আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি ফিরতে শুরু করেছে। চারদিকে বন্যার কাঁদামাটিতে একাকার। অনেকে বাড়িঘর পরিষ্কার করে নতুন করে জীবন-সংগ্রামে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে ত্রাণ সাহায্য অপ্রতুল দেখা গেছে। অনেক কোনো সাহায্য না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার উদ্যোগে রাতে ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ হাজার মানুষের মাঝে খিচুড়ি বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর মেয়র মো. রফিকুল আলম।
এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পৌর এলাকার বাইরে দেওয়া হয়েছে চিঁড়া ও গুড়।
তৃতীয় দফার আকস্মিক বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মৎস্য ও কৃষি খাতে।
জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণে কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা পাওয়া গেলে ত্রাণতৎপরতা শুরু হবে।