আইনজীবী রথীশের স্ত্রীসহ চারজনকে রিমান্ডে চাইবে পুলিশ
রংপুর স্পেশাল জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ও জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক রথীশ চন্দ্র ভৌমিক বাবুসোনাকে হত্যা মামলায় তাঁর স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিক, তাঁর কথিত প্রেমিক কামরুল ইসলাম ও তাঁদের দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করবে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আল-আমিন গণমাধ্যমকে বলেন, এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত নয়জনকে আটক করা হয়েছে। আজ তাদের সবাইকে আদালতে হাজির করা হবে।
‘এর মধ্যে অ্যাডভোকেট বাবুসোনার স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিক, তাঁর কথিত প্রেমিক কামরুল ইসলাম ও তাঁদের দুই শিক্ষার্থী সবুজ ও রোকন এরই মধ্যে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন।’
তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হবে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
পাঁচ দিন নিখোঁজ থাকার পর গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবুসোনার লাশ উদ্ধার করেন র্যাব-১৩ সদস্যরা। এর আগে রথীশের স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিককে আটক করে র্যাব। স্নিগ্ধাকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি পরকীয়ার কারণে স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করেন।
এরপর স্নিগ্ধার দেওয়া তথ্যানুযায়ী র্যাব উদ্ধার অভিযান চালায়। রাত ১১টার দিকে রথীশের বাড়ি থেকে আধা কিলোমিটার দূরে তাজহাট মোল্লাপাড়া জামে মসজিদের কাছে স্নিগ্ধার প্রেমিক কামরুল ইসলামের ভাইয়ের নির্মাণাধীন বাড়ির একটি ঘরের মেঝে খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করেন র্যাব সদস্যরা। পরে রথীশের ভাই সুশান্ত কুমার ভৌমিক গিয়ে লাশ শনাক্ত করেন।
এ হত্যার পরিকল্পনা করা হয় দুই মাস আগে। ঘুমের ওষুধ খাইয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করেন স্ত্রী স্নিগ্ধা সরকার ভৌমিক ও তাঁর প্রেমিক কামরুল ইসলাম। দুজনই রংপুরের তাজহাট উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। রথীশকে হত্যার পর মাটিচাপা দিতে দুই ছাত্রকেও ব্যবহার করেন তাঁরা।
নগরীতে শোকর্যালি
এদিকে আইনজীবী রথীশ চন্দ্র ভৌমিক হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ রংপুর নগরীতে শোকর্যালি করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
সকালে নগরীর ধর্মসভা থেকে র্যালিটি বের হয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে পরিষদের নেতা রামকৃষ্ণ সোমানি, অজয় প্রসাদ, সুব্রত সরকার, ধনঞ্জয় ঘোষ তাপস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।