লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার যুবদল নেতা মো. সবুজ (২৮) হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের আটক করা হয়।

আটক ছয়জন হলেন—আবু জাহের, বিল্লাল হোসেন, মহিন, আরিফ, ইলিয়াস ও মাসুদা বেগম। তাঁদের কাছ থেকে একটি ছেনি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

সবুজ কুশাখালী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর বাবার নাম আবু তাহের। গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ সিলাদী গ্রামে সবুজকে গলাকেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। 

কুশাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নিহতের চাচাতো ভাই নুরুল আমিন জানান, সবুজের পরিবারের সঙ্গে স্থানীয় আরেকটি পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে পরিকল্পিতভাবে সন্ত্রাসীরা তাঁকে হত্যা করতে পারে। এ সময় তিনি ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সিলাদী গ্রামের মিঝিবাড়ীর আবু তাহেরদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাড়ির আবু জাহেরদের জমি-সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রাতে আবু জাহের ও তাঁর ছেলে বেল্লালসহ কয়েকজন যুবদল নেতা সবুজকে নিজ বাড়িসংলগ্ন একটি মুরগির খামারের সামনে গলা ও পেটকেটে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে সবুজের মৃতদেহটি পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। 

চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, জমি-সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিল্লালসহ সন্ত্রাসীরা সবুজকে গলাকেটে হত্যা করে। বিল্লাল এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।