লক্ষ্মীপুরে আ. লীগ নেতা হত্যার ঘটনায় আটক ৩
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চন্দ্রগঞ্জ থানা সন্ত্রাস নির্মূল কমিটির আহ্বায়ক ওমর ফারুককে (৩৭) হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এঁদের মধ্যে দুজন যুবলীগকর্মী রয়েছেন। এঁরা হলেন নুরুল আলম ও ইসমাইল হোসেন। অপর আটক ব্যক্তি হলেন ঘটনাস্থলের চা দোকানদার গিয়াস উদ্দিন।
এ দিকে হত্যকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বুধবার রাত ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে গণমিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন। বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বিজন বিহারী ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের নেতা মুনছুর আহম্মদ ও চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশিদ।
বক্তারা, অবিলম্বে ওমর ফারুক হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় আগামী দিনে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। এ ছাড়া আটক যুবলীগকর্মী নুরুল আলম ও ইসমাইল হোসেন ফারুক হত্যার সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন বক্তারা।
এদিকে নিহতের স্ত্রী ফাতেমা বেগম তাঁর স্বামী হত্যার ঘটনায় বুধবার চন্দ্রগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তবে রাত সাড়ে ৮টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত থানায় ওই অভিযোগটি মামলা হিসেবে রুজু হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা সহকারী পুলিশ সুপার (সার্কেল) মো. নাসিম মিয়া জানান, জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য তিনজনকে থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। ফারুক হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্ততি চলছে।
গত মঙ্গলবার ওমর ফারুককে গুলি করে হত্যা করে একদল মুখোশধারী সন্ত্রাসী।