ছাত্রীকে চড় দিয়ে ফেসবুকে ভিডিও
হবিগঞ্জ শহরে প্রকাশ্যে এক স্কুলছাত্রীকে এক কিশোরের চড় মারার ভিডিওচিত্র ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় জেলাসহ সারা দেশে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
urgentPhoto
ভিডিওতে দেখা যায়, স্কুলের পোশাক পরা কয়েকজন ছাত্রী রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল। হঠাৎ একটি ছেলে এক ছাত্রীর বাহুতে হাত দিয়ে তার পথ রোধ করে দাঁড়ায়। এর পর ছেলেটি মেয়েকে গালাগাল করতে করতে তার গালে বেশ কয়েকটি চড় মারে। ভিডিওচিত্রের শেষের দিকে দেখা যায়, ছেলেটি মেয়েটিকে মারধরের হুমকি দিতে দিতে চলে যাচ্ছে।
এ সময় ছেলেটির এক বন্ধু মোবাইল ফোনে এ দৃশ্য ধারণ করে। এর পর গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ছেলেটির বন্ধু ফেসবুকে এ ভিডিওচিত্র আপলোড করে। ভিডিওচিত্রটি আপলোড করার পর দেশজুড়ে তা চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে ছেলেটিকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়েছে।
উত্ত্যক্তের শিকার মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে একই এলাকার রুহুল আমিন (১৫) দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। এ নিয়ে কয়েকবার রুহুল আমিনের পরিবারের কাছে নালিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি।’
মেয়েটির মা বলেন, ‘স্কুল ছুটির পর তারা সব বান্ধবী হগলতে মহিলা কলেজের গেটতথে বার হইয়া, আরো তিনটা মেয়ে আছিল। তবে দুইটা মেয়ে বাইর হইয়া চলি আইছে, আর একটা মেয়ে আমার মেয়ের লগে আইছে। আমার মেয়ের লগে ওই ছেলে আইয়া আমার মেয়েরে চড়াইয়া ওরাইয়া এরপর কইতাছে, তুই হৃদয়ের বাফেরে দিয়া আমারে মাইর খাওয়াইছস, এর পর হৃদয়ের বাফের হাত কাইটা আইনা তোর হাতে দিমু যেদিন হেদিন আমার নাম রুহুল আমিন।’
তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ে স্কুলে লেকাপড়া করতে পারে না, যাইতে পারে না। এরপর ছেলের গার্ডিয়ানের কাছে অনেকদিন বিচার দেওয়া হইছে। গার্ডিয়ানে কইছে আর কোনোদিন মেয়ের পিছে লাগত না। এরপর তারার বোইনের পেছনে লাগার কারণে অন্য ছেলেরা তারে মারছে। মারার পর সে রাগ হইয়া আমার মেয়েরে মারছে। আমার মেয়ে মাইর খাওয়াইছে ছেলেরে। এ কথাকে কেন্দ্র করে ছেলে আমার মেয়ের জামাইরে বিচার দিছে। আমার মেয়ে নির্দোষ, তার হাতে থাফাওফা দিলো, আমি এইটাই আপনারার কাছে বিচার চাই।’
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন জানান, এ বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।