প্রেমের ফাঁদে ফেলে বন্ধুদের নিয়ে বস্ত্রশ্রমিককে ধর্ষণ
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বস্ত্র কারখানার এক শ্রমিক (২৪) গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন। গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আন্দিউড়া ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ওই তরুণী শ্রমিককে উদ্ধার করে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। দ্রুত অভিযান চালিয়ে উপজেলার মীরনগর গ্রাম থেকে অভিযুক্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মীরনগর গ্রামের সাদ্দাম হোসেন (২২), শাহ আলম (৩৬), নূর রহমান (৩৭) ও পূর্ব মাধবপুর গ্রামের এমরান মিয়া (২৫)।
এ ঘটনায় ওই নারী শ্রমিকের মা বাদী হয়ে মাধবপুর থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে অপহরণ ও গণধর্ষণের মামলা করেছেন।
মাধবপুর থানার কর্মকর্তা ও বাদীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার হতদরিদ্র এক তরুণী বেশ কিছুদিন আগে জীবিকার তাগিদে মাধবপুরের একটি কটন মিলে শ্রমিকের কাজ নেন। মিলে আসা যাওয়ার পথে পূর্ব মাধবপুর গ্রামের এমরান মিয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ঘটে। এমরান মিয়ার সঙ্গে প্রায়ই ওই শ্রমিকের মোবাইল ফোনে কথাবার্তা হতো। একপর্যায়ে নারী শ্রমিকের সঙ্গে এমরানের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ১৫ জুলাই রাত ৮টায় এমরান মিয়া ফোন করে ওই নারী শ্রমিককে নোয়াপাড়া নিয়ে যান। নোয়াপাড়া থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশায় করে তাঁকে মীরনগর গ্রামে একটি বাড়িতে রাখেন। সেখান থেকে এমরান অন্য বন্ধুদের ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে নারী শ্রমিককে অপহরণ করে হাড়িয়া হাওরে নিয়ে যান। সেখানে সাত যুবক তাঁকে ধর্ষণ করে মাঠে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তিনি কোনো রকমে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে উঠলে মাধবপুর থানার টহল পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম তাঁকে দেখতে পান।
নারী শ্রমিকের বক্তব্য শুনে এসআই জাহাঙ্গীর ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাকে জানান। এরপর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামানের নেতৃত্বে মীরনগর গ্রামে অভিযান চালিয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবর পেয়ে হবিগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলেন, ওই নারী শ্রমিককে অপহরণ করে ধর্ষণ করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমকে চিকিৎসা শেষে পূর্ণাঙ্গ মেডিকেল পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।