শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে নিহত সাবেক সংসদ সদস্য শহীদ ময়েজউদ্দিনের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। সাবেক এই নেতার মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করেছেন গাজীপুরবাসী।
দিনের শুরুতে রাজধানী ঢাকার বনানী কবরস্থানে শহীদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কামরুল আহসান সরকার রাসেল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্য আমান সরকারসহ অন্য নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া গাজীপুরের কালীগঞ্জে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও কাঙালিভোজের আয়োজন করা হয়।
ময়েজউদ্দিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পরিমল চন্দ্র ঘোষের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আহমেদুল কবীর খান, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম দেওয়ান, পৌর যুবলীগের সভাপতি বাদল হোসেন ভূঁইয়া।
১৯৮৪ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য সারা দেশে ২২ দল হরতাল আহ্বান করে। এর সমর্থনে মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় তৎকালীন সরকারের লেলিয়ে দেওয়া কিছু সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
শহীদ ময়েজউদ্দিন ঐতিহাসিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য গঠিত ‘মুজিব তহবিলের’ আহ্বায়ক ছিলেন। একজন বিচক্ষণ আইনজীবী ও রাজনীতিক হিসেবে অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তিনি এ ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া উল্লেখযোগ্য সময় ধরে বৃহত্তর ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পরে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ১৯৭০ এবং ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে কালীগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা থেকে যথাক্রমে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
রাজনীতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৭ সাল থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ রেডক্রস (বর্তমানে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট) সোসাইটির নির্বাচিত ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। একাধারে বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা সমিতির (এফপিএবি) মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
শহীদ ময়েজউদ্দিন বর্তমান সরকারের মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির বাবা।
১৯৩০ সালের ১৭ মার্চ বর্তমান গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার বড়হরা গ্রামে জন্ম নেন শহীদ ময়েজউদ্দিন।