ভাসানী চিরদিন অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবেন : ড. কামাল
মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী চিরদিন মানুষের অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে বেঁচে থাকবেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন।
আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মওলানা ভাসানীর ৪২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে এ মন্তব্য করেন কামাল হোসেন।
ড. কামাল বলেন, ‘মওলানা ভাসানী আমাদের অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে চিরদিন আমাদের মধ্যে থাকবেন। আমরা বিশ্বাস করি যে, এই সন্তোষ থেকে সারা বাংলাদেশে এ প্রেরণার আলো ছড়িয়ে যাবে।’
স্বাধীনতা সংগ্রামসহ জনগণের পক্ষে সব আন্দোলনে মওলানা ভাসানী নেতৃত্ব দিয়েছেন উল্লেখ করে ড. কামাল আর বলেন, ‘আমারা আজকে যে কাজগুলো করছি, (সেগুলো) তাঁর প্রেরণা থেকেই’।
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দিকী ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুরসহ অন্য নেতাকর্মীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ ছাড়া বেলা সাড়ে ১১টা দিকে সাবেক মন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল নোমান ও শামসুজ্জামান দুদুর নেতৃত্বে বিএনপির পক্ষ থেকে ভাসানীর মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নেতাকর্মীরা।
এ সময় বিএনপির নেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ‘দেশে গণতন্ত্র পুনঃ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মানুষ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করছে না। তারা সরকারের হুকুমে চলছে।’
আসন্ন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না উল্লেখ করে নোমান বলেন, ‘বিরোধীদের নির্বাচন থেকে সরানোর জন্য পরিকল্পনা করা হচ্ছে। আমারা নির্বাচন থেকে সরতে চাই না। খালেদা জিয়াকে নিয়েই নির্বাচনে যেতে চাই।’
এদিকে মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে টাঙ্গাইলে। এ উপলক্ষে সকালে ‘মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পক্ষ থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্রছাত্রীরা।
পরে একে একে ভাসানীর পরিবার, ভাসানী ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষা ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকেও মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষে আজ সকাল থেকেই মওলানা ভাসানীর ভক্ত, মুরিদানসহ সর্বস্তরের মানুষের ঢল নামে সন্তোষে। প্রতি বছরের মতো এবারও মহান এ নেতার মৃত্যুদিবসকে ঘিরে আলোচনা সভা, কোরআন খানি, মিলাদ মাহফিল ও গরিব-দুঃখীদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
১৯৭৬ সালের এই দিনে মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মারা যান।