সালথায় দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত একজনের মৃত্যু
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩০ জনের মধ্যে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. আবুল হোসেনের (২২) মৃত্যু হয়।এ ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
আবুল হোসেন উপজেলার দাড়িয়াকান্দি গ্রামের আবদুল মালেকের মেজ ছেলে। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন—ফরিদ শেখ, মঙ্গল মোল্যা, রাশেদ, ইছাহাক, ওহিদ খান, আরশেদ, রাকিবুল, নবীন শেখ, বাবুল মাতুব্বর, অপু শেখ, ছালাম মাতুব্বর ও বতু শেখ।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডি এম বেলায়েত হোসেন জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল ৭টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দাড়িয়াকান্দি গ্রামে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ মেম্বর ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নুরুদ্দীন মেম্বারের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৩০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত আবুল হোসেনকে প্রথমে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পর অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই গতকাল রাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ওসি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শটগানের ২১টি রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’
টানা তিন ঘণ্টার এ সংঘর্ষে আহতদের কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তাঁরা হলেন—আলী মাতুব্বর, দুলাল মাতুব্বর, খালেক মোল্যা, রাসেল শেখ, মজিবর রহমান, আফছার উদ্দীন, শুকুর, আবুল হোসেন, বাতেন, কবির, শাহজাহান, চাঁন মিয়া, মফি শেখ, সুমন এবং আবুলের দুই ভাই মো. জামাল হোসেন ও মো. কামাল হোসেন। তাঁদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নগরকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক দিন আগে মেমোরি কার্ড কেনাবেচা নিয়ে ওয়াদুদ মেম্বরের সমর্থক টুকু সর্দারের সঙ্গে নুরুদ্দীন মেম্বারের সমর্থক লাল মিয়ার কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এরই জের ধরে উভয় গ্রুপের সমর্থকরা বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষের সময় ১০-১২টি ঘর ভাঙচুর করা হয়।
সালথা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী সাব্বির আলী বলেন, দুই গ্রুপের বিরোধ অনেক দিন ধরেই চলে আসছিল। সংগঠনে পদ নিয়ে এ রেষারেষি চলছিল বলেও জানান তিনি।