নোয়াখালীর পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় নোয়াখালীর সুধারামের আমির আহাম্মেদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য চার আসামি হচ্ছেন আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর, মো. ইউসুফ, মো. জয়নাল আবদীন ও মো. আব্দুল কুদ্দুস।
প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার বিচারপতি মোহাম্মাদ আনোয়ার-উল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন বিচারপতি শাহীনুর ইসলাম ও বিচারপতি মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী।
ট্রাইব্যুনালে একই মামলার ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন আইনজীবী জাহিদ ইমাম। আসামিদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা, গণহত্যার তিনটি অভিযোগ আনা হয়।
এ ব্যাপারে জাহিদ ইমাম এনটিভি অনলাইনকে জানান, গত বছরের ১৬ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়ে গত ৩০ আগস্ট শেষ হয়। ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের কাছে হস্তান্তর করেন তদন্ত সংস্থা। এ ভিত্তিতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ তৈরি করা হয়। আজ আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে তিন অভিযোগ
পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আনা হত্যা, গণহত্যার তিনটি অভিযোগের সবগুলোতেই আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী ও আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর জড়িত ছিলেন বলা হয়েছে। মো. ইউসুফ ও মো. জয়নাল আবদীন দুটি করে এবং মো. আবদুল কুদ্দুসের বিরুদ্ধে একটি ঘটনায় জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
প্রথম অভিযোগে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৫ জুন নোয়াখালীর সুধারামে ৪১ জনসহ শতাধিক ব্যক্তিকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন পাঁচ আসামি।
দ্বিতীয় অভিযোগ বলা হয়, ১৯৭১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. জয়নাল আবদীন।
তৃতীয় অভিযোগে বলা হয়েছে, একাত্তরের ১৩ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৬টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৯ জনকে হত্যা-গণহত্যায় নেতৃত্ব দেন আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী, আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর ও মো. ইউসুফ।