এজলাসে দুই আইনজীবীর ধস্তাধস্তি, চোখে ঘুষি
খাগড়াছড়ি আদালতে বিচার চলাকালীন দুই আইনজীবী ধস্তাধস্তিতে লিপ্ত হয়েছেন। এ সময় আইনজীবী আবদুল মোমিনের চোখে ঘুষি মারেন প্রতিপক্ষের আইনজীবী সুপাল চাকমা। আইনজীবী আবদুল মোমিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরেফিন আখতার নূরের আদালতে একটি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণকালে জেরার ইস্যুকে কেন্দ্র করে বাদীপক্ষের আইনজীবী সুপাল চাকমা ও প্রতিপক্ষ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আবদুল মোমিনের মধ্যে তর্কাতর্কি ও বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুজন দুজনের দিকে তেড়ে যান এবং গায়ে হাত দেন। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই সুপাল চাকমা প্রতিপক্ষের আইনজীবী আবদুল মোমিনের চোখে ঘুষি মারেন। এতে তাঁর চশমার কাচ ভেঙে যায় এবং বাঁ চোখ গুরুতর জখম হয়।
খাগড়াছড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মোশাররফ হোসেন জানান, আহত আইনজীবী আবদুল মোমিনের চোখের জখম গুরুতর। মাথার আঘাত আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চমেকে পাঠানো হয়েছে।
আহত আইনজীবী আবদুল মোমিন এনটিভি অনলাইনকে জানান, ১০৭ ধারার একটি মামলায় তিনি মঙ্গলবার বিকেলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরেফিন নূরের আদালতে বাদীপক্ষের সাক্ষীকে জেরা করছিলেন। জেরার একপর্যায়ে বাদীপক্ষের আইনজীবীর সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু হয়। একপর্যায়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী সুপাল চাকমা তাঁর বাঁ চোখে ঘুষি মারেন। এতে চশমার গ্লাস ভেঙে বাঁ চোখে জখম হয়।
অন্যদিকে আইনজীবী সুপাল চাকমা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, সাক্ষীকে জেরা করার একপর্যায়ে আবদুল মোমিন তাঁর শার্টের কলার চেপে ধরেন এবং শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে বেয়াদব বললে তিনি ধৈর্য ধারণ করতে পারেননি।
এদিকে, খবর পেয়ে আবদুল মোমিনকে হাসপাতালে দেখতে যান জেলা বার অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আইনজীবী সহকারীসহ খাগড়াছড়ি পৌর মেয়র রফিকুল আলম।
খাগড়াছড়ি বার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য আবুল হোসেন জানান, ঘটনাটি মর্মান্তিক ও দুঃখজনক। এ ব্যাপারে বার অ্যাসোসিয়েশন জরুরি বৈঠক করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।