চৌদ্দগ্রামে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষ, আটজন নিহত
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিক্শার সংঘর্ষে দুই শিশুসহ আটজন নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রামের নোয়াবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থলেই চালকসহ অটোরিকশার সাত যাত্রী নিহত হন। পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন।
কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে সংঘর্ষে সিএনজি অটোরিকশার চালক ফিরোজ মিয়া, তিন নারী ও দুই শিশু সহ মারা যায় সাতজন। এ সময় দুলাল নামের এক যাত্রী গুরুতর আহত হন। তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত সাড়ে দশটার দিকে তিঁনি মারা যান।’
নিহতদের মধ্যে ছয়জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের নারায়ণপুর গ্রামের জেসমিন আক্তার (৪০) ও তাঁর মেয়ে বিলকিস আক্তার (১২), একই উপজেলার দেবীপুর গ্রামের রোজিনা (৩২), তাঁর মেয়ে সুমাইয়া (৭), চৌদ্দগ্রামের আমানগণ্ডার কুলসুম আক্তার (৩০) এবং চৌদ্দগ্রামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক ফিরোজ মিয়া (৪০)। নিহত একজনের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
গুরুতর আহত দুলাল মিয়াকে প্রথমে চৌদ্দগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে দশটার দিকে তিঁনি মারা যান। দুর্ঘটনার পর বাসটি নিয়ে পালিয়ে যায় চালক।